চট্টগ্রামের নেতা আসলাম মাস খানেক আগে বিএনপির নতুন কমিটিতে যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে মনোনীত করেন খালেদা জিয়া।
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদারও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, সরকার উৎখাতের জন্য আসলাম চৌধুরী ভারতে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টের সাথে বৈঠক করেন। সেই অভিযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা সায়রুল কবির খান আসলাম চৌধুরীর একান্ত সচিব মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে রবিবার সন্ধ্যায় এ বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তুলে ধরে আজ রবিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “নজরদারিতে আছে (আসলাম), আরও তথ্য কালেকশন করে পরবর্তী অ্যাকশনে যাব।”
ভারতের মাটিতে বসে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’র এজেন্টের সাথে ‘সরকার উৎখাতের বৈঠকের’ অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার। তার দেশ ত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই আসলামকে গ্রেপ্তার করা হলো।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির সদস্য এবং ইসরাইলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান মেন্দি এন সাফাদি সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন। সেখানে আগ্রার মেয়রের সঙ্গে ‘ডেল-আভিভ’ শীর্ষক সেমিনারে যোগ দেন তিনি।
ওই অনুষ্ঠানের আগে এন সাফাদির সঙ্গে আসলামকেও ফুলের মালা দিয়ে বরণ করছেন মেয়র- এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এন সাফাদির ফেসবুক পাতায় একাধিক গ্রুপ ছবিতেও আসলামকে দেখা যাচ্ছে।
এর সূত্র ধরে দেশের একটি পত্রিকা আসলাম চৌধুরীর সাথে এন সাফাদির বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করে। এরপরই তৎপর হয়ে উঠে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীসহ দেশের বেশ কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনা বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।