ঢাকা ১৫ মে: সন্তানদের মৃতদেহ না পাওয়ার যন্ত্রণা সাভারে তিন কিশোরের মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা পার হলেও রহস্যের কূল-কিনারা করতে পারছে না পুলিশ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগ। এদিকে উভয় পরিবারের মধ্যেই শোকের মাতমের সাথে বইছে সন্তানদের মৃতদেহ না পাওয়ার যন্ত্রণা।
তিন কিশোরের মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হওয়ায় শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. সোহেল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে তিনি বলেন, রহস্যের জট খুলতে এসে তিনি আরো বেশি রহস্যের গহ্বরে পড়ে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা মেডিকেলে মৃতদেহগুলোর কেমিকেল পরীক্ষার জন্য রক্ত ও খাদ্যের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে বজ্রপাত কিংবা বৈদ্যুতিক সটসার্কিটের কারণে মৃত্যু হওয়ার কোন আলামত তাদের দেহে মেলেনি বলেও জানান তিনি।
এদিকে নিহত দুই সহোদরের মা নাসরিন আক্তার ঠিক কখন তার সন্তানদের মৃত্যু হয়েছে তা জানাতে পারেননি। শুধু রাতে তার সন্তানেরা খাওয়ার পর টেলিভিশন দেখা শেষে পাশের কক্ষে ঘুমোতে গিয়েছিল এটুকুই বলেন তিনি। তবে তার সন্তানেরা অবুঝ। তারা কোন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন দূরের কথা মোবাইল পর্যন্ত ব্যবহার করে না বলেও জানান এই সন্তানহারা মা।
অপরদিকে নিহত শাহাদাতের অকাল মৃত্যুর খবরে নীলফামারী থেকে ছুটে এসেছেন তার মা ও দুই বোনসহ স্বজনেরা। কিন্তু এখনও তাদের সন্তানের লাশ না পাওয়ায় যন্ত্রণায় ছটপট করছেন তারা।
তবে উভয় পরিবারেরই দাবি তাদের কারো বিরুদ্ধেই অভিযোগ নেই। সন্তানের মৃতদেহগুলো ফিরে পেলে তারা দেশে ফিরে যেতে পারেন।