দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু ও তার স্ত্রী মাহবুবা সুলতানার সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করেছে। আজ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদেশে তাদের সম্পত্তি জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। তিনি জানান, আদালতের এই আদেশের ফলে তারা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তর করতে পারবেন না। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কর্মকা- পরিচালনা করতে কোনো বাধা থাকবে না। মোসাদ্দেক আলী ফালুর জব্দ করা সম্পত্তি হলো- উত্তরখানে দুই জায়গায় ৬৭ শতাংশ জমি, বড় মগবাজারের পাঁচ জায়গায় ৪৫ শতাংশ জমি, বঙ্গবন্ধু এভিউনিউয়ে ২টা দোকান, কাকরাইলের দুই জায়গায় ১৮ শতাংশ জমি, বাউনিয়ায় সাড়ে ৮২ শতাংশ নিচু জমি, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় সাড়ে ৬ শতাংশ জমি ও দক্ষিণ শাহজাহানপুরে একটি ফ্ল্যাট। এছাড়া ফালুর মালিকানাধীন ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল লিমিটেড (এনটিভি), রোজা অ্যাগ্রো লিমিটেড, রোজা প্রোপার্টিজ লিমিটেড ও স্টার পোরসিলিন প্রাইভেট লিমিটেড জব্দ করা হয়।

অন্যদিকে ফালুর স্ত্রী মাহবুবা সুলতানার জব্দ করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে গুলশান সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এলাকায় ৬ তলা বাড়ি এবং তার নামে থাকা ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেল লিমিটেড (এনটিভি),  রোজা অ্যাগ্রো লিমিটেড ও এমএএইচ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সকল শেয়ার। দুদক সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে দায়ের করা পৃথক দুই মামলার তদন্তেদর স্বার্থে গত সেপ্টেম্বরে আদালত থেকে ওই জব্দের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক সৈয়দ আহমেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি প্রায় ২২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার দায়ে বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক আলী ফালু ও তার স্ত্রী মাহবুবা সুলতানার বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় দুদক।

এ বিষয়ে দুদক সূত্রে জানায়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোসাদ্দেক আলী ফালুর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১৫ মে রমনা থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। ফালুর বিরুদ্ধে ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। অপরদিকে একই বছরের ১০ আগস্ট ফালুর স্ত্রী মিসেস মাহবুবা সুলতানার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪৭২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মাহবুবা সুলতানার সম্পদ বিবরণীতে আয়ের উৎস হিসাবে মৎস্য চাষ, গরুর খামার ও বাসা ভাড়া দেখালেও তিন কোটি ৯৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪৭২ টাকার ক্ষেত্রে মৎস্য ও পশুপালন অধিদপ্তরের নিবন্ধন ও অন্যান্য দালিলিক প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031