প্রথানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী পাঁচ বছরে দেশে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, শিক্ষিত তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা তার সামনে ‘সবচেয়ে বড় দায়িত্ব’
শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা দেন। গত ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে জয়ের পর দেওয়া এই ভাষণে সরকারের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
গত এক দশকে দেশে অর্থনীতির চাকা গতিশীল হলেও কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি নেই। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই বিষয়টি নিয়ে বারবার কথা হয়েছে।
বর্তমান সরকারের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নানা বক্তব্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য আমরা বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’
‘সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলেছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগের জন্য আসছেন।’
তরুণদের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে আছে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে আর্থিক সহায়তা প্রদান, তরুণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা ও প্রণোদনা প্রদান।
সরকারি উদ্যোগে কর্মসংস্থান পরিকল্পনা, তরুণ উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনসমূহ আন্তর্জাতিকভাবে পেটেন্ট করার উদ্যোগ গ্রহণ, দেশ-বিদেশে কর্মে নিয়োগের জন্য কারিগরি বিষয়ে দক্ষ কর্মী তৈরি এবং কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনবল গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি কলেজ স্থাপনের কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
সারাদেশে দুই ডজনের বেশি হাইটেক পার্ক এবং আইটি ভিলেজ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেলন, ‘কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, পর্যটন, সেবাখাতসহ অন্যান্য খাতে প্রাতিষ্ঠানিক এবং আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।’
পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন কাজে গতি আনার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের প্রতিটি গ্রামে শহরের সুবিধা, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া, ছেলেমেয়েদের উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি, সুপেয় পানি এবং উন্নতমানের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, সুস্থ বিনোদন এবং খেলাধুলার জন্য অবকাঠামো গড়ে তোলা, ইন্টারনেট/তথ্য প্রযুক্তি সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।