এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তের কিছু তথ্য আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এটাতে যাদের সম্পৃক্ততার কথা বলা হচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা এটি তদন্ত করে দেখছি। তদন্তে যদি এটার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আসলাম চৌধুরী যা বললেন :
‘মোসাদ’ কানেকশন নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগ প্রসঙ্গে জানার জন্য গতকাল যোগাযোগ করা হয় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে কোন প্রকার ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসী নই। বিএনপিও বিশ্বাস করে না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে এবং বানোয়াট অভিযোগ আনা হচ্ছে’। অপর এক প্রশ্নের জবাবে আসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সরকার উৎখাতের কোন ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আমি জড়িত নই। যেহেতু সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে তাই সরকার শেষ পর্যন্ত বুঝতে পারবে অভিযোগটি মিথ্যে। অভিযোগটি যে মিথ্যে সেটাই প্রমাণিত হবে।
ছবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অতীতেও বলেছি, আমি ব্যবসায়িক কারণে ভারত সফর করি। ওখানে টুরিস্ট এলাকাগুলোতে যাই এবং টুরিস্টদের সাথে ছবি তুলেছি। এখানে অন্য কোন বিষয় নেই।’
গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় সরকার উৎখাতে বিএনপি’র সম্পৃক্ততার কথাও বলছেন অনেকে? এমন প্রশ্নের উত্তরে আসলাম চৌধুরী বলেন, আমি দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলাম না। আমার সফরটিও ব্যক্তিগত ছিল। তাছাড়া দলের কূটনৈতিক বিষয়গুলো নিয়েও আমি কোন সময় কাজও করিনি। তাই আমার সাথে বাইরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। লায়নিজম করার সুবাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের সাথে কিছু সম্পর্ক রয়েছে শুধু। তাছাড়া লায়নিজমে আমরা বিশ্বাস করি সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিও সকল ধর্মের সকল মানুষের সমান অধিকার বিশ্বাস করে। অতীতে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা মাঠে ছিলাম আগামীতেও থাকব। আমরা বিশ্বাস করি সবদলের অংশগ্রহণে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন সম্ভব। বিএনপি ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসী নই, আমি নিজেও বিশ্বাস করি না।
বিএনপি নেতারা যা বললেন :
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার (অব🙂 আ স ম হান্নান শাহ দৈনিক আজাদীকে বলেন, এটা যে মোসাদের সাথে বৈঠকের ছবি তার প্রমাণ কি। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, আসলাম চৌধুরী তো বিএনপির মেনডেট নিয়ে যান নি। তাই এখানে বিএনপির সম্পৃক্ততার প্রশ্নই আসে না। সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে আ স ম হান্নান শাহ বলেন, ‘উনারা সবকিছুতেই রাষ্ট্রবিরোধী কর্ম দেখেন’। ষড়যন্ত্রের যে বিষয়টি বলা হচ্ছে তা বানোয়াট গল্প ছাড়া আর কিছু না। সরকারের কত মন্ত্রী–এমপি’র সাথে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর দহরম–মহরম চলছে। সরকারেরও দহরম–মহরম আছে। প্রমাণ চান? শতশত প্রমাণ আছে। বাইরের অনেক গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও তো এদেশে এসে সরকারের মন্ত্রী–এমপিদের সাথে বৈঠক করেছেন। এখন একটি ছবি দেখিয়ে যদি বলা হয়, এগুলো সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র। তাহলে কেমন হবে?
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশে ‘মোসাদে’র মদদদাতা হচ্ছে ভারত। আর বিশ্বের মদদদাতা হচ্ছে আমেরিকা। ভারতের সাথে তো সরকারের ঘনিষ্ঠতা বেশি। এখান থেকে কি বোঝা যায়?
বিএনপির সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে আসলাম চৌধুরী নিজেই বলেছেন, কিভাবে দেখা হয়েছে এবং কি কথা–বার্তা হয়েছে। মহাসচিবও এই বিষয়ে দলের অবস্থান সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছেন। সুতরাং এখানে দলের সম্পৃক্ততা নেই এটা স্পষ্ট। আছে বলে আমিও বিশ্বাস করি না’।
বিএনপি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিবের হিসেবে নয়, আসলাম চৌধুরী হয়তো ব্যক্তিগত কারণে ভারতে গিয়েছিলেন। উনি তো বলেছেনই, লায়ন হিসেবে বিভিন্ন দেশে যান। তাছাড়া কথা বলতেই পারেন। ছবিও তুলতে পারেন। এটা তো ব্যবসায়িক কথাও হতে পারে। তবে এখানে যে বিষয়টি নিয়ে আমরা শঙ্কিত, শীর্ষ পর্যায়ে যখন কোন কথা হয় বা বৈঠক হয় তার কোন ছবি কেউ আপলোড করার কথা না। ফেসবুকেও কেউ ছবি দিবে না। সুতরাং এখান থেকেই প্রতীয়মান হয়, বিষয়টি সন্দেহজনক। ‘মোসাদ’ তো টপ মোস্ট ইন্টিলিজেন্ট। তারা এতো ইম্যাচিউরড হবে না। তাই বিষয়টি আসলাম চৌধুরীর পক্ষে না নিয়ে আরো বেশি তদন্ত করা উচিত। যেহেতু বৈঠকটি ইন্ডিয়াতে হয়েছে বলা হচ্ছে তাই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর স্টেটমেন্ট দেখা উচিত। তাছাড়া যে ‘মোসাদ’ নিয়ে কথাবার্তা চলছে সেই ‘মোসাদ’ও এখন পর্যন্ত কোন স্টেটমেন্ট দেয়নি। এখানে সবকিছুই সরকার করছে। তবে আরো ইনভেস্টিগেশন হওয়া দরকার। সবকিছু মিলিয়ে তদন্তের প্রয়োজন আছে।
দলের যুগ্ম মহাসচির সাথে মোসাদের যোগাযোগ ওই জায়গা থেকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘দলীয় সফর ছিল না। দল কেন দায়িত্ব নিবে?’
এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘দলের মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলুন। শৃঙ্খলার স্বার্থে আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়’।
যোগাযোগ করা হলের বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মীর মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করবো না। তবে এটুকু বলতে পারি, বিএনপি জড়িত নয়। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য ও কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এম. এ হালিম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘আসলাম চৌধুরী পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। হয়তো উনি ষড়যন্ত্রের শিকার’।
এর আগে গত শুক্রবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘বিএনপি’র সঙ্গে ইসরাইলের কোন সম্পর্ক নেই। বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বিএনপি একটি উদারপন্থি, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বিএনপি বিশ্বাস করে সরকার পরিবর্তন সম্ভব শুধুমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে, অন্য কোনো পথে সরকার পরিবর্তনের কথা বিএনপি চিন্তাও করে না।
গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য :
গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, মোসাদের দুই বাংলাদেশি এজেন্ট, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মো: মোকতার হোসেন বলেছেন, সেই অর্থে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় নি। তবে যেহেতু আসলাম চৌধুরীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ উঠেছে, সেহেতু তারা যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, সেজন্য আমরা ইমিগ্রেশনকে এ্যালার্ট করে দিয়েছি।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত সাতজনের মধ্যে জামায়াত ঘরানার চার নেতা, এক সাংবাদিক এবং মোসাদের দুই এজেন্ট রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, মোসাদের দুই এজেন্টের একজনের নাম সিপান কুমার বসু। তার বাড়ি খুলনায়। আরেকজনের নাম বিবেক দেব। তার বাড়ি ভারতের কলকাতায়। সম্প্রতি ভারতে মোসাদের সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠক শেষে দেশে ফেরার পর সিপানকে গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনা হয়।
সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন, গত মার্চে কলকাতা, দিল্লি ও লন্ডনে ইসরাইলের প্রভাবশালী নেতা মেন্দি এন সাফাদি তিনটি বৈঠক করেছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। কলকাতায় বৈঠক হয় গত ৬ মার্চ। সেখানে মোসাদের সদস্য ছাড়াও বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা, একটি ইসলামী দলের নেতা এবং মোসাদের এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে কাজ করা একজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এরপর ১০ থেকে ১৪ মার্চ টানা ৪ দিন দিল্লিতে বৈঠক হয়। সেখানে ইসরাইলের প্রভাবশালী নেতা ও মোসাদের দায়িত্বে থাকা মেন্দি এন সাফাদি উপস্থিত ছিলেন। তিনিই বাংলাদেশের সরকার উৎখাতে সব ধরনের অর্থায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। এই বৈঠকের পর ১৮ মার্চ লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার ব্রিজ রোডের পার্ক প্লাজা হোটেলের ১১৪৫ নম্বর রুমে বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন মেন্দি এন সাফাদি। সেখানে জামায়াতে ইসলামীরও একজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠক থেকেই বাংলাদেশের একজন প্রভাবশালী বিএনপি নেতার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স হয়। ওই ভিডিও কনফারেন্সের ফুটেজ এখন গোয়েন্দাদের হাতে।
উত্তর জেলা বিএনপির প্রতিবাদ :
বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে দাবি করে এর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি এম এ হালিমের সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সভা গতকাল বিকাল ৪টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেছেন, অবিলম্বে মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ করুন। আসলাম চৌধুরী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী, ষড়যন্ত্রে নয়। আসলাম চৌধুরী স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সিপাহসালার। চলমান আন্দোলনে তার সাহসী ভূমিকা চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদেরকে উজ্জীবিত করেছে। বর্তমানে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীরা আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অচিরেই নিরপেক্ষা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমাদের জয় অনিবার্য। তাই সরকার আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য আসলাম চৌধুরী ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে তাকে আন্দোলন সংগ্রাম থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু আসলাম চৌধুরী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামের পথ থেকে সরে দাঁড়াবে না। নেতৃবৃন্দ আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ষড়যন্ত্র থেকে বিরত করার জন্য বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূূচি ঘোষণা করা হবে।
উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আমিনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব ছালাহ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, সাবেক সহ সভাপতি চাকসু ভি.পি নাজিম উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, মো: সেকান্দর চৌধুরী, আবদুল আউয়াল, এড. আবু তাহের, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সেলিম চেয়ারম্যান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আহমেদ হাসনাত, ইউসুফ নিজামী, জাতীয়তাবাদী যুবদল উত্তর জেলার সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান মঞ্জু, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সরওয়ার সেলিম, রাঙ্গুনীয়া পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক মাহাবুব সাফা, ফটিকছড়ি পৌরসভা বিএনপি’র আহ্বায়ক মোবারক হোসেন কাঞ্চন, রাঙ্গুনীয়া বিএনপির সাবেক সভাপতি নবাব মিয়া চেয়ারম্যান, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপি’র আহ্বায়ক জাকির হোসেন, সন্দ্বীপ পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক আহসানুল কবির তালুকদার, সীতাকুন্ড উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল আলম জহুর, সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামশেদুল আলম, শামসুল আলম আজাদ, ফটিকছড়ি উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব মো: নাছির উদ্দিন, জেলা মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক নার্গিস আক্তার, কুতুব উদ্দিন বাহার, হাটহাজারী উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ফারুক, রাউজান উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এইচ এম নূরুল হুদা, হাটহাজারী উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুসলিম উদ্দিন, রেজাউল নূর সিদ্দিকী, রহমত উল্লাহ মেম্বার, ফয়েজ উল্লাহ, কবির চেয়ারম্যান, কাউসার চেয়ারম্যান, মেয়র জালাল উদ্দিন, এডভোকেট খায়রুল ইসলাম, ফজল বারেক, নেছারুল ইসলাম নাজমুল, নুরুল হুদা সোহেল, আওরঙ্গজেব মোস্তফা, কে আলম, নিউটন দত্ত, ফজলুল হক, ফজল করিম, মঞ্জুরুল হক বাহার, মাঈনুদ্দিন মনি, জাহিদুল আবসার জুয়েল, আনিস আকতার টিটু, মাহবুবুল হক শিমুল, আজিজ উল্লাহ, ওসমান গণি, রোকন সিকদার, মনিরুল ইসলাম জনি, মো: ফোরকান ইকবাল, ইরফানুল হক রকি, ওমর ফারুক ডিউক, শওকত তালুকদার, আবুল কালাম আজাদ, মামুনুর রশিদ মামুন, রফিকুল ইসলাম, আবদুর রহমান মনির, মামুন সিকদার, নুরুল ইসলাম, খোরশেদুল আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।