অ্যাজেন্সির (কইকা) প্রেসিডেন্ট এইচ ই লি মিকউনের বাংলাদেশে এসে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা দেখে ভালো লাগেনি কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন । একথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সোমবার সন্ধ্যায় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান কইকা প্রেসিডেন্ট। কিন্তু সন্ধ্যার রাজধানীতে চিরচেনা যানজটের কবলে পড়েন তিনি। পরে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বারবার এ নিয়ে অভিযোগ করেন।
বৈঠক শেষে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। কইকা প্রেসিডেন্ট ঢাকা শহরের ট্রাফিক দেখে বারবার অভিযোগ করেছেন উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘উনার কাছে ঢাকা শহরের ট্রাফিক দেখে ভালো লাগে নাই। বারবার অভিযোগ করছিলেন।’
‘এরকম ট্রাফিক তাদেরও (কোরিয়ায়) একসময় ছিল। কিন্তু এটা কমানো যাবে (ম্যানেজেবল)। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের জন্য কোরিয়ায় যারা এই কাজগুলো করে, তাদেরকে তিনি বলবেন, বাংলাদেশে এসে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট হাতে নিয়ে এর ওপরে যেন কাজ করে।’
এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দক্ষিণ কোরিয়া কাজ করবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (কইকার প্রেসিডেন্ট) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ রেখে গেলেন। অনেকে এটা করত না, এটা বাংলাদেশ করেছে।’
দেশে ফিরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কইকা প্রেসিডেন্ট তার সরকারকে অবহিত করে কীভাবে এই ইস্যুটির সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে কাজ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশে বড় বড় কোরীয় কোম্পানির বিনিয়োগ করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কইকা প্রেসিডেন্ট দেশে ফিরে সেখানকার বিনিয়োগকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা। বাংলাদেশের জন্য তিনি কাজ করবেন। এটা তিনি কথা দিয়েছেন।’
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এরই মাঝে ২৪টি প্রকল্প তারা (কোরিয়া) ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহ করেছে। আরও আটটি প্রকল্প চলমান আছে। সেখানেও ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তারা আমাদের সাহায্য করছেন।’