মাথায় হাত পড়েছে তীব্র শীত, কুয়াশা আর অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে বরিশালের আগৈলঝাড়াতে পানচাষি এবং ব্যবসায়ীদের । ঠান্ডাজনিত কারণে পান গাছে দাগ, শিকড় পচা ও পাতাঝরাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে। এর ফলে পানের বাজারে ধস নেমেছে।
এই উপজেলার অনেকেই পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আকস্মিক শৈত্যপ্রবাহে পানের পাতায় হলদে দাগ দেখা দিয়েছে। পচে যাচ্ছে পানপাতা। এক পোয়া বড় পানের দাম তিন হাজার থেকে কমে আটশ’ টাকা, মধ্যম পান এক হাজার ছয়শ’ থেকে কমে পাঁচশ’ এবং ছোট পান পাঁচশ’ থেকে নেমে তিনশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন মোকামের ব্যবসায়ীরা কম দামে পান কিনেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা বলছেন, পানের পাতায় কালো দাগ থাকায় এবং পচে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানের মোকামে আরও কম দামে পান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। পান পরিবহন এবং বিক্রিতে দু’দিন সময় লাগে। আর এ সময়ের মধ্যে পান পাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন বাজারে কম দামে পান বিক্রি করছেন।
পান ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, শীত, ঘন কুয়াশা আর অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহের কারণে পানের পাতা লালসে হয়ে ঝড়ে পড়েছে। বরজ থেকে পড়া পান সংগ্রহ করতে গেলে অন্য পানও ঝড়ে যায়। এসব পান বাজারজাত করার জন্য গাদি করার সময় দেখা যাচ্ছে পাতায় কালো দাগ। আবার পচা পাতাও পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে পানের বাজারে ধস নেমেছে। একবিঘা জমিতে পানের বরজ করতে খরচ হয় ছয় লাখ টাকা। এবার লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন ব্যয় উঠবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
আগৈলঝাড়া কৃষি কর্মকর্তা বলেন, চাষিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পানবরজ বর্তমানে যেসব রোগবালাই সংক্রমিত হয়েছে সে ব্যাপারে প্রতিনিয়ত চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অতিরিক্ত শীতের কারণে এ ধরনের রোগবালাই হচ্ছে। পানবরজের পরিচর্যা করলে এবং শীত কমে গেলে এক সপ্তাহের মধ্যে এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।