একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পুলিশ বলছে, ভোটে অনিয়মের ‘মিথ্যা তথ্য’ প্রকাশের দায়ে বাংলাদেশে । বুধবার থেকে আরেকজন সাংবাদিক পলাতক রয়েছেন। নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকায় কাজ করেন সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন মোল্লা। তাকে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মঙ্গলবার দিনশেষে আটক করা হয়েছে। অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো বলছে, এই আইনটি ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধ করতে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে কর্তৃপক্ষকে। মোট ভোটারের চেয়ে দক্ষিণাঞ্চলের খুলনায় একটি আসনে অতিরিক্ত ২২৪১৯টি ভোট পড়ার রিপোর্ট প্রকাশ করার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হেদায়েত হোসেন মোল্লাকে।
যে নতুন আইনের অধীনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা প্রস্তাব করার সময় থেকেই মিডিয়া হাউসগুলো এর বিরোধিতা করে আসছিল।

বিশেষ করে তারা এতে থাকা কঠোর কিছু বিধান বা প্রভিশনের কথা তুলে ধরেছিল। যদিও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে যে, হেদায়েত হোসেন মোল্লার রিপোর্ট মিথ্যা ছিল, কিন্তু নির্বাচনের সময়ে ও পরে একই রকম মিডিয়া হয়রানির বেশ খবর পাওয়া গেছে। এতে বাংলাদেশে তুঙ্গে উঠেছে নতুন বিতর্ক। এটাকে আখ্যায়িত করা হয়েছে, বিরোধী দল ও মিডিয়ার কণ্ঠকে রুদ্ধ করার উপায় হিসেবে। নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের দিনে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে নিহত হয়েছেন ১৭ জন। এ হত্যার ঘটনায় ওই গ্রেপ্তার ও ভীতি প্রদর্শনের কথা ঢাকা পড়ে গেছে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে বিরোধী দল আর নিরপেক্ষ মিডিয়াই শুধু উদ্বেগ প্রকাশ করছে এমন না। একই সঙ্গে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সভ্য দুনিয়াও। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সহিংসতা ও ভোটদানে বাধা দেয়ার বিষয়। তারা বলেছে, এ ঘটনায় নির্বাচন কলঙ্কিত হয়েছে। নির্বাচনে হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। বিরোধীদের উদ্বেগ যুুক্তিসঙ্গত। কারণ, তারা আগের নির্বাচন বর্জন করেছিল। সর্বশেষ নির্বাচনে তারা অংশ নিয়েছে। কিন্তু এ দুটি ঘটনায় তারা কোনো পার্থক্য দেখতে পান নি। কারণ, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে যায় এমন সব ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে। বিরোধী দল ও মিডিয়া যেসব অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে তার সবটার বিষয়ে নজর দেয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের।
(অনলাইন পাকিস্তান অবজার্ভার থেকে অনুবাদ)

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031