পুনঃ নির্বাচনের দাবিতে তারা নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেবেন। ধানের শীষ নিয়ে লড়া সব প্রার্থীকে ঢাকায় জরুরি তলব করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে সারাদেশে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে। এতে প্রার্থীদের ভোটের দিনের অনিয়ম, কারচুপিসহ আট ধরনের তথ্য উপাত্তের বিস্তারিত নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
প্রার্থীরা ঢাকায় আসার পর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক করা হবে। পরে একযোগে নির্বাচন কমিশনে যাবেন।
চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকা টাইমসকে জানান, মঙ্গলবার সকালেই বিএনপির দপ্তর থেকে নির্বাচনের অনিয়ম, কারচুপি, এজেন্ট ও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ও নিহতদের তালিকা, প্রতিটি কেন্দ্রের অস্বাভাবিক ভোটের হিসাবসহ আটটি বিষয়ে তথ্য প্রমাণ সহকারে একটি প্রতিবেদন পাঠাতে জন্য বলা হয়েছে।
ভোটের দিন ব্যালট পেপারে সিল মারাসহ ভোট কারচুপির ভিডিও ফুটেজ থাকলেও তাও প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত করতে বলা হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফল ইসলাম আলমগীর বরাবর এটা জমা দিতে হবে।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী এলডিপি নেতা শাহদাত হোসেন সেলিম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘তথ্য উপাত্ত অনেকটাই আমাদের কাছে আছে। বাকিটা কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি করে জমা দেব।’
সোমবার রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন ঘোষণা করেছেন, নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে শিগগিরই প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেবেন।
রবিবারের ভোটে বিএনপি এবং তার শরিকদলের বিস্ময়কর ভরাডুবি হয়। বিএনপির পাঁচ জন নেতা, এবং শরিক দল গণফোরামের দুই জন নেতা কেবল জিতে এসেছেন। তাদের পক্ষে ভোট পড়েছে প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ। দল হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এত বাজে ফল কখনো করেনি দলটি।
বিএনপি অবশ্য এই নির্বাচনের ফলকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে, আগের রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে এবং ভোটের দিন তাদের কর্মী সমর্থকদের কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে হারানো হয়েছে বিএনপিকে।
দলের হয়ে জয়ী পাঁচ জন শপথ নেবেন না বলেও প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।