বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে শুক্রবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ২১ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ২৬ মিলিমিটার। এর মধ্যে আজ সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে আট ঘণ্টায় এর পরিমাণ ছিল নয় মিলিমিটার রাজধানীতে ।
অথচ গত ৫ থেকে ১১ মে পর্যন্ত সাত দিনে ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছিল মাত্র ১৩ মিলিমিটার।
ঝোড়ো হওয়াসহ এই বৃষ্টি ঢাকা ছাড়াও সব জায়গাতেই হয়েছে। গতকাল সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে টাঙ্গাইলে ৫৩ মিলিমিটার। এ ছাড়া আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজশাহী ও শ্রীমঙ্গলে ৫১, ঈশ্বরদীতে ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগের দিন মাত্র এক মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও আজ সকাল থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চট্টগ্রামে বৃষ্টি হয়েছে ৬৬ মিলিমিটার। একই সময়ে সীতাকুণ্ডে এর পরিমাণ ছিল ২৫, বগুড়ায় ১৫ ও রংপুরে ১১ মিলিমিটার।
ছবি: ফোকাস বাংলা
তবে ২৪ ঘণ্টায় একেবারেই বৃষ্টি হয়নি পুরো খুলনা বিভাগে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
অবশ্য ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা অঞ্চলসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান বলেন, কালবৈশাখীর প্রভাবে এ ধরনের বৃষ্টি দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয় না। থেমে থেমে এটি হয়ে থাকে।