এবার বেশির ভাগ মানুষ নিজেদের ভোট দিতেই যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে।টানা তিন দিনের ছুটি পেয়ে অনেকেই ছুটছেন গ্রামের উদ্দেশ।
এর ফলে গতকাল সকাল থেকে চট্টগ্রামের বাস- রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। এ দিকে যাত্রীর চাপ বাড়ায় নির্ধারিত সময়ের অনেক বিলম্বে কোনো কোনো ট্রেন গন্তব্যর উদ্দেশ ছেড়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সারা দেশে।
পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রয়োগের জন্য চট্টগ্রামের বসবাসরত মানুষগুলো গ্রামের বাড়িতে যেতে বিমান, বাস, ট্রেন ও অন্যান্য যানবাহন বেছে নেয়। তবে যেকোনো বিশেষ দিনে মানুষ নিরাপদ বাহন হিসেবে ট্রেন যাত্রাকেই বেছে নেন। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি।
নগরের সিনেমা প্যালেস, স্টেশন রোড ও অলঙ্কার মোড় বাস কাউন্টার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সাধারণত দুই ঈদ ছাড়া বাস কাউন্টারগুলোতে তেমন ভিড় না থাকলেও এবার নির্বাচন উপলক্ষে মানুষের ঢল নেমেছে। নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘরমুখো মানুষ ভিড় করছেন কাউন্টারে কাউন্টারে।
কর্মকর্তা জহির উদ্দিন জানান, সাধারণত সিনেমা প্যালেস থেকে রাতে এস আলম পরিবহনের ৪টি বাস কক্সবাজার ও টেকনাফের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। তবে নির্বাচন উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকায় এখন রাতেই ৮টি বাস রেখেছি আমরা।
দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহিম। তিনি জানান, ভোট মানেই উৎসব। জাতীয় নির্বাচনের ভোট হলে তো কথায় নেই। তাই ভোট উৎসবের সঙ্গী হতে বাড়ি যাচ্ছি।
এদিকে ট্রেনের এটেনডেন্ট কামরুল এ প্রতিবেদককে বলেন, কমিউটার ট্রেনের এই চিত্র প্রতিদিনের। তবে আজ অন্য দিনের চেয়ে যাত্রীর চাপ একটু বেশিই।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আরএনবির সদস্য সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, স্টেশনে এত মানুষ আসার কারণ একটাই, সবাই ভোট দিতে যাচ্ছেন। তা ছাড়া তিন দিনের ছুটির কারণেও ভিড় বেশি হয়েছে।
আপরদিকে, বাসস্ট্যান্ডও ছিল ঘরে ফেরা মানুষের উপচেপড়া ভিড়। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের। একজন বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে আমরা ভোট দিতে গ্রামে যাচ্ছি। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সারাদেশে পরিবহন চলাচল।