চট্টগ্রাম, ১২ মে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনেক কষ্ট করে আমরা এই অবস্থায় এসেছি। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের চেষ্টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে অনেকটাই গুছিয়ে এনেছিলেন। তখন তিনি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সাত ভাগে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার আবার সেই প্রবৃদ্ধি সাত ভাগে নিয়ে এসেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং আমাদের নিরলস চেষ্টার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমাদের আছে জনসম্পদ। জনগণই আমাদের উন্নয়নের চাবিকাঠি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে আইডিইবির সম্মেলনে বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জনগণকে আমরা সম্পদ হিসেবে মনে করি। তবে আমাদেরকে কারিগরি শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। কর্মমুখী শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে সরকার ইতোমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার আরও কাজ করছে।
২১তম জাতীয় সম্মেলনে বক্তৃতা করার সময় প্রকৌশলীদের প্রতি দায়িত্বপালনে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প নেয়ার সময় এর বাস্তবমুখী দিক আরও ভালোভাবে খতিয়ে হবে। অহেতুক প্রকল্প না নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব কিছুই করতে হবে মানুষের কল্যাণের দিক মাথায় রেখে। অকাজে যাতে কোনো অর্থ ব্যয় না হয়।
তিনি প্রকৌশলীদের বেতন নিয়ে যে একটু সমস্যা রয়েছে তা সমাধানের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, আমি ইতোমধ্যেই অর্থমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। আশি করছি দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে। আমরা চাই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং এ কারণেই আমরা রেলপত্র মন্ত্রণালয় আলাদা করে দিয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্র্য থাকবে না। পাঁচ কোটি মানুষ মধ্যবিত্ত হয়েছে। আগামীতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি চ্যালেঞ্জে আমরা জয়লাভ করছি। পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের ওপর যে অপবাদ দেয়া হয়েছিল সেখানেও আমার জয়লাভ করেছি।বিশ্বব্যাংক এ ইস্যুতে আমাদেরকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা পারেনি।২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।=