ড. কামাল হোসেন অতীতের মতো সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন । সোমবার বিকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশা প্রকাশ করে বলেন, জনমত যাচাই করলে দেখবেন সবাই পরিবর্তন চায়। একটা রায় হয়ে আছে। পূর্ণাঙ্গ রায় পাব ৩০শে ডিসেম্বর। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী অতীতে নিরপেক্ষ ছিল। আশা করি এ নির্বাচনেও তারা অতীতের মত জনগণের আকাঙ্খা পুরণে ভুমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, আর মাত্র ২/৩ বছর পর আমরা ২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতা ৫০ বছর পুর্তি পালন করতে যাচ্ছি। সে দিন আমরা যাতে বলতে পারি এমন একটি সরকার পেয়েছি, যারা সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, সবাইকে ভোট দিতে যাওয়া উচিৎ।
জনগণ আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আছে। পরিবর্তনের জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ শেষ পর্যন্ত আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকবো।
বিএনপির মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ক্রমশই নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করছে। সমাবেশে অনুমতির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আমরা অনুমতি পাইনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। উপস্থিত ছিলেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদির সিদ্দিকী, বিকল্প ধারা একাংশের চেয়ারম্যান নরুল আমিন ব্যাপারী প্রমুখ।