নির্বাচন কমিশন (ইসি) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে । এতে পেশাগত দায়িত্ব পালন বিঘ্নিত হবে বলে মনে করছেন সাংবাদিকরা।
রবিবার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এমন শঙ্কা প্রকাশ করে। আর তাই সংগঠনটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য লিখিত দাবি জানিয়েছে।
সিইসির কাছে আরএফইডির সভাপতি সোমা ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পত্রে বলা হয়েছে ‘গত ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামানের সই করা এক নীতিমালায় বলা হয়েছে- আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকগণ নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত এবং অনুমোদনসূচক স্টিকারযুক্ত যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন। মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য কোনো স্টিকার ইস্যু করা হবে না।’
‘নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত প্রথা ও রেওয়াজ বিরোধী। কারণ অতীতের সব নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীরা নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ করা স্টিকার মোটরসাইকেলে লাগিয়ে তাদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন।’
‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে মাঠ পর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন এবং নির্বাচনের সব খবর সাধারণ মানুষের কাছে সরবরাহ করে থাকেন, যা একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য নির্বাচনের মাঠে গণমাধ্যমকর্মীদের অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করা প্রয়োজন। গণমাধ্যমকর্মীদের এই অবাধ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াতের অন্যতম ও সহজ একটি মাধ্যম হলো মোটরসাইকেল। এ অবস্থায় মোটরসাইকেলের জন্য স্টিকার সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্বকে বিঘ্নিত ও ব্যহত করবে।’
চিঠিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেলের অনুকূলে স্টিকার বরাদ্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠির অনুলিপি চার নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও যুগ্মসচিবকে (জনসংযোগ) দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত চার দিনের জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের পাস না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারছেন না। অথচ সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলই হচ্ছে সাংবাদকর্মীদের মূল বাহন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।