জনগণ আমাদের সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন। তাদের প্রতি মানুষের আস্থা আছে। তারা কোনো অনৈতিক কাজকে সমর্থন করবে না।

আজ রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাবনা ও শঙ্কা’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

জাফরুল্লাহ বলেন, আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ১৫ তারিখে মাঠে (সেনাবাহিনী) নামাবার কথা জানিয়ে ছিলাম, তখন তিনি বলেন- না একটু…। আমি তখন বললাম কেন সেনবাহিনী কি পথ-ঘাট চেনে না, তাদের কাছে গুগল ম্যাপ নেই, তারা কি বাংলাদেশের সন্তান নয়, তা যদি হয় তাহলে তো আমাদের স্বাধীনতা নিরাপদ না। এভাবে আপনারা সামরিক বাহিনীকে অপমান করতে পারেন না। তখন তিনি বললেন- ২৪ তারিখে আসবেন।

আমি বললাম তাদের কিছু করতে হবে না শুধু টহল দিলেই চলবে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রাস্তায় পোস্টার থাকুক আর না থাকুক। জনগণের মার্কাতেই জনগণ ভোট দেবে। আর সেই মার্কাটা হচ্ছে ধানের শীষ। ধানের শীষ বিএনপির মার্কা নয়। আজকে এটা জাতির মার্কা, ধানের শীষ গণতন্ত্রের মার্কা।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যেমন জয় বাংলা ছিল আমাদের স্লোগান। তেমনি ধানের শীষ জাতির আকাক্সক্ষার প্রতীক, পরিবর্তনের প্রতীক, পরিবর্তনের মার্কা। জনগণ তাদের মনোস্থির করে রেখেছে। এবারের খেলাটা ভিন্নভাবে হবে। হাজারে, হাজারে, লাখে, লাখে মানুষ ভোট দিতে আসবে। ভোট দেবে যাকে পছন্দ তাকে। ভারতীয় এজেন্টদেরকে ভোট দেবে না তারা।

জাফরুল্লাহ বলেন, যে দেশে প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেন না। সে দেশে নির্বাচন কমিশন কথা রাখবেন তা আশা করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা চেতনার রিফ্লেকশন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সাম্প্রতিককালে তিনি প্রতিবার কথা ভঙ্গ করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন ইতিহাস রচনা হবে ৩০ ডিসেম্বর। এই দিন শুধু নির্বাচন নয়, আন্দোলনও বটে। জনগণের ভোটের মধ্য দিয়ে এই দিন মহীয়সী নারী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন।

এমাজউদ্দিন বলেন, যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। কিন্তু আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ভোট দেয়ার মানসিকতা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের চেতনা নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন অন্য কোনো দেশে হয় না, আমাদের দেশে হয়। কারণ প্রসাশনে যারা নিযুক্ত হয়, তারা কেউ মেধায় না। আনুগত্যে নিযুক্ত হয়। তাই তাদের ওপর ভরসা করা যায় না। এ জন্যই সামরিক বাহিনীর মেজরদের আনা হয়।

তিনি আরো বলেন, ক্ষমতায় যারা আছে তারা চক্রান্ত করছে, তাদের মোকাবেলা করতে হবে। আমি শেখ মুজিবকে পছন্দ করতাম। কিন্তু তার হাত ধরেই গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। বাকশাল না হলে হয়তো এমন হতো না। শেখ হাসিনার অধীনেও উন্নয়ন হয়েছে। তবে তা কিছু লোকের উন্নয়ন হয়েছে। যাদের উন্নয়ন হয়েছে তারা বিদেশে বাড়ি তৈরি করেছে। আরাম-আয়েশে থাকার জন্য।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031