এখনও সামনে সাত দিন সময় আছে জনগণকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না দিলে দেশে মহা সঙ্কটের সৃষ্টি হবে মন্তব্য করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন। এই সময়ের মধ্যে বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানি গ্রেপ্তার বন্ধ করে, প্রচার প্রচারণার সমান সুযোগ দিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন। তা না করে ভাওতাবাজির নির্বাচন করলে তা কেউ মেনে নেবে না। বিকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির তথ্য তুলে ধরে ড. কামাল বলেন, ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা বলছে এভাবে পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া, পুলিশ ও সরকারি দল মিলে যারা ভোট চাইতে যাচ্ছে তাদের ওপর আক্রমণ করা আর হয়নি ।
এমন আর দেখিনি। কল্পনা করাও যায় না। তিনি বলেন, পরিবেশকে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
এটা যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয়। না হলে সংবিধান লঙ্ঘণ করার অপরাধ হবে। সংবিধানকে ভঙ্গ করার অপরাধ হবে। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ না দেয়া হলে যারা নির্বাচিত দাবি করবে তাদের কোনভাবেই নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া যাবে না। তখন মহা সঙ্কট সৃষ্টি হবে। জনগণ দেশের ক্ষমতার মালিক।
তাদের ভোট দিতে না দেয়া স্বাধীনতার ওপর আঘাত। এই আঘাত মেনে নেয়া যায় না। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাথা ঠিক করেন। মাথা ঠান্ডা করেন। মাথা সুস্থ করেন। ইলেকশনে জিততে হবে। এভাবে ভাওতাবাজি করে জিতবেন, এটাকে জিতা বলে না। মানুষের সঙ্গে ভাওতাবাজি করা, মানুষের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা সংবিধান লঙ্ঘণ। যেটা করা হচ্ছে, যতো স্বৈরাচারি সরকার এ পর্যন্ত এসেছে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। তাই আপনাদেরকে ভালভাবে বলছি, সাত দিন আছে। এসব বন্ধ করুন। বন্ধ না হলে জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না।