আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে যদি কোনো আঘাত দেয়া হয় তবে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক এবং গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। খবর ইউএনবি’র।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। আর তা না করে নির্বাচনকে আঘাত করা হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।’
বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে ৭০তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০১৮ ও বিজয়ের ৪৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘মানবাধিকার, সুশাসন ও ভোটাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মানবাধিকার ফেডারেশন।
ভোটাধিকার নিয়ে মানুষের শঙ্কা দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, ‘স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়া নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। স্বাধীন দেশে মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে ব্যর্থ হলে সেটা স্বাধীনতার ওপর আঘাত।’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান ও অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে জনগণ ও স্বাধীনতার জন্য ক্ষমতার পুরোপুরি ব্যবহার করুন, নিজেদের ক্ষমতাকে কাজে লাগান। সরকার যদি পরিপন্থী কিছু করে তবে তা থেকে বিরত রাখার ক্ষমতা আপনাদের (ইসি) আছে। পুলিশ ভয়ভীতি থেকে মানুষকে রক্ষা করা অপরিহার্য। অবিলম্বে পুলিশকে আইন পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত থাকতে বলুন।’
সরকারের উদ্দেশে ড. কামাল বলেন, ‘লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন সংবিধান পেয়েছি। এটি ভুলে গেলে চলবে না। তথাকথিত নির্বাচনে যদি আপনারা ৩০০ সিট চান তাহলে বলেন, আমরা দিয়ে দেই। আপনারা ইতিমধ্যে বলেছেন অসম্পন্ন কাজ করতে আরও ৫ বছর থাকতে চান। ওই ৫ বছর পর অসম্পন্ন কাজ থাকলে বলেন প্রয়োজনে আরও ৫ বছর সময় আপনাদের দেয়া হবে। আসলে এটি নির্বাচনের নামে প্রহসন।’
ফেডারেশনের সভাপতি ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতেদার আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি ড. গোলাম রহমান ভূঁইয়া।