পাহাড়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোন ধরনের ঝুঁকি নেই অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা হবে মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার একেএম নুরুল হুদা বলেছেন। মঙ্গলবার রাঙামাটি সফরে এসে তিন পার্বত্য জেলার সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার, রিটার্নিং কর্মকর্তাগণসহ সবকটি থানার অফিসার ইনচার্জ ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব একথা বলেন। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে কমিশনার মাহবুব তালুকদার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অসত্য বলেও দাবি করেছেন সিইসি। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বর্তমান সময়ে সারাদেশে যেভাবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলছে, পাহাড়েও একইভাবে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে। প্রতিটি কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন, প্রয়োজন অনুসারে হেলিকপ্টার ব্যবহারসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু রাখা হবে।
রাঙামাটিতে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী কর্তৃক উত্থাপিত অভিযোগে বিগত নির্বাচনে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিস্থ ৫৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কারচুপি করা হয়েছে, এবার এসবের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নিবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন বিগত ২০১৪ সালের নির্বাচন সেরকম অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তবে এবারে আমাকে সকলেই আশ্বস্থ করেছে এবং সেনাবাহিনী-বিজিবি এরা প্রত্যেকে গ্রামে গ্রামে ঘরে ঘরে গিয়ে জনসাধারণকে আশ্বস্থ করার চেষ্টা করছে যে, আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবেন, আমরা সেই চেষ্টাই করছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সকলের অংশগ্রহণে একটি সুন্দর অংশগ্রহণমূলক নির্র্বাচন উপহার দিতে পারবো আমরা। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান করা নাহলেও যেখানেই ঝামেলা সৃষ্টি হবে সেখানে তারা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। এই ক্ষমতা তাদের দেয়া হয়েছে।