বিএনপির প্রার্থী সরদার মো. সাখাওয়াত হোসেন বকুলের সমর্থকদের গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনে। হামলাকারীরা বহরে থাকা নয়টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে দুটি প্রাইভেটকার। হামলার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন বকুল। তবে স্থানীয় আওয়ামী নেতারা বলছেন ‘এটা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল’।

বৃহস্পতিবার বিকালে মনোহরদী উপজেলার হেতেমদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গাড়ি বহর নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন বিএনপির প্রার্থী বকুল। বেলাব এলাকায় গাড়ির বহর পৌঁছলে কে বা কারা হামলা চালায়। হামলাকারীরা নয়টি মোটরসাইকেলে পুড়িয়ে দেয়। বকুলের গাড়ির সঙ্গে থাকা দুটি প্রাইভেটকারও ভাঙচুর করা হয় এসময়।

বকুল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি আমার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ করার জন্য একসঙ্গে জড়ো হয়েছিলাম। এ সময় আওয়ামী লীগে ৮/১০ জন নেতা-কর্মী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।’

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল মজিদ হুমায়ুন বলেছেন, এই ঘটনা বিএনপির কোন্দলের ফসল এবং রাজনৈতিক অপকৌশল। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

জানতে চাইলে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘মোটর সাইকেল ও গাড়ি ভাঙচুরের একটি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু কে বা কারা ঘটিয়েছে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পাইনি।’

একই দিন নরসিংদী-২ আসনের পলাশ উপজেলায় বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেছেন যুবদল নেতা মনির হোসেনের। তিনি ডাংগা ইউনিয়নের হাসনহাটা এলাকায় ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।

মনির বলেন, ‘দুপুরে আমি বাড়িতে ছিলাম না। এ সময় আমার স্ত্রী ইয়াসমিন সুলতানা রত্না ফোন করে জানায় পুলিশের উপস্থিতিতে ইউনিয়নের কয়েক শ লোক আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমার আরেক সমর্থক করিম মিয়া ও মোবারক হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়েও লুটপাট চালায়। আমরা বিএনপির প্রার্থী ড. আবদুল মঈন খানের নির্বাচন করছি তাই আমাদের ওপর এই নির্যাতন।’

তবে ডাংগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজহার খন্দকার বলেন, ‘নির্বাচন আসছে তো তাই তারা মিথ্যাচার করছে। বরং যুবদল নেতা মনিরের নেতৃত্বে কেন্দুয়াব এলাকায় আমাদের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।’

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মকবুল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘হামলা ও লুটপাটের বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগও করেনি।’

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031