আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হককে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের ভোটের মাঠ সরব । পোষ্টার প্রচারণা আর গণসংযোগে এগিয়ে তিনি। মঙ্গলবার এলাকায় এসেছেন আনিসুল হক। অবস্থান করবেন চারদিন। মাঠে নেই বিএনপি’র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মুসলিম উদ্দিন। তার কোন পোষ্টারও লাগেনি। জনসংযোগও নেই। দলীয় সুত্র জানিয়েছে, প্রতীক বরাদ্দের দিন আখাউড়া এসেছিলেন বিএনপি’র এই প্রার্থী।
প্রতীক নিয়ে ঢাকা চলে যান।
গতকাল পর্যন্ত আর এলাকায় আসেননি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনের মধ্যে প্রার্থী সবচেয়ে কম এই আসনে। বড় দু-দলের প্রার্থীসহ প্রতিদ্বন্ধির সংখ্যা তিনজন। আরেকজন প্রার্থী হচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জসিম (হাত পাখা)।
এখানে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন মোট ১০ জন। বাছাইয়ে মনোনয়ন বাতিল করা হয় ৫ জনের। এরমধ্যে ৩ জন আপিল করেন। তাদের মধ্যে আপিল মঞ্জুর হয় একজনের। এই আসনে বিএনপি’র হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন সাবেক এমপি ও সচিব মুশফিকুর রহমান। বাছাইয়ে তার মনোনয়ন বাতিল হয়। আপিলেও মনোনয়ন ফিরে পাননি তিনি। তার মনোনয়ন না টিকায় ফুড়ফুড়ে হয়ে যায় আওয়ামী লীগ। তার বদলে দলের মনোনয়ন পান নতুন মুখ আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দিন। এদিকে প্রতীক পাওয়ার পর মঙ্গলবার নির্বাচনী এলাকার আখাউড়া উপজেলা থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আইন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো: রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সফরসূচি থেকে জানা যায় শুক্রবার পর্যন্ত এলাকায় অবস্থান করবেন তিনি। সফরসূচীর নিচে লিখা রয়েছে, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার প্রেক্ষিতে মাননীয় মন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানকালীন সময়ে সরকারী কোন সুবিধাদি গ্রহন করবেন না’। কিন্তু মঙ্গলবার মন্ত্রীর আখাউড়া সফরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন তালুকদার সহ অসংখ্য পুলিশ সদস্য মন্ত্রীর প্রটোকলে ব্যস্ত ছিলেন। ওসি ছিলেন সবার আগে। ওসি মোশাররফ হোসেন তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তার জন্য আমরা সেখানে ছিলাম। অন্য কোন বিষয় এখানে নেই।