আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি কেন্দ্র পাহারা দিতে আসলে আমাদের কেন্দ্র রক্ষা করতে হবে বলে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর মহানগর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের যৌথ সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের বিরোধী শক্তির কাছে রাজনীতির একটা বড় অস্ত্র আছে। সেটা হলো ‘ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার’। এই হাতিয়ার ব্যবহার করে অনেক কিছু ভাঙা যায়। সতর্ক থাকতে হবে। তারা আবার ভাঙতে পারে, নাশকতা করতে পারে, সহিংসতা করতে পারে। তফসিলের পর পল্টনে তা-ব চালিয়ে তারা শুরুটা করে দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তা-ব শুরু করে দেয়া পক্ষটি নির্বাচনকে ঘিরে দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রের পায়তারা করেছে।
তারা তো কেন্দ্র পাহারা দিতে আসবে, আমাদের কেন্দ্র রক্ষা করতে হবে। ড. কামাল হোসেন বিএনপির রাজনীতির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি এখন নেতা নন, নির্বাচনও করছেন না। তাহলে তাদের নেতা হচ্ছে পলাতক, দ-িত আসামি তারেক রহমান। তার নির্দেশে কামাল হোসেন সাহেব এখন কথাও বলেন না। তারেক রহমানের নির্দেশে কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মহসিন মন্টু পরিচালিত হচ্ছেন। হায় রে, কি লজ্জা! বাংলাদেশের জনগণ কি এত বোকা? এই মানুষগুলোর অসহায় আত্মসমর্পণ খুনির কাছে, দুর্নীতির কাছে। তারা নাকি পাহারা দিতে আসবে, আমরাও কেন্দ্র রক্ষা করবো। আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, তিনি আওয়ামী লীগকে ৩০ আসনের বেশি দিতে চান না। ২০০৮ সালে পেয়েছিলেন ২৯ সিট। আমরা কিন্তু ক্ষমতায় থেকে প্রতিপক্ষকে এতো সিট দিবো – এই অহংকারী উচ্চারণ একবারও করিনি। দল ও জোটের মনোনয়ন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমাদের দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দলের এবং জোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ করা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে দলের এবং জোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ করেছি। আজ কালের মধ্যেই চিঠি দিয়ে দিবো। আগামীকাল মনোনয়ন প্রাপ্তরা চিঠি পাবেন আশা করি। আমি শতভাগ আশাবাদী বিপুল ভোটে বেশির ভাগ আসনে বিজয়ী হবো। কাদের বলেন, আমাদের মনোনয়নে রাজনীতির বিজয় হয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তা নেই। কিছু কিছু জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ হতে পারে। কারণ জোটের কারণে আমাদের অনেক আসনে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। আমরা আশা করি জোটের মনোনয়ন তারা মেনে নেবেন। এবারের নির্বাচনে আমাদের বিজয়ের বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ ও জোটের পরাজয় ২০০১ সালের অন্ধকার, আমাদের পরাজয়ে দেশে রক্তের নদী বয়ে যাবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ ২০০১, ২০১৪ সালে যে বিভীষিকা, রক্তপাত, সন্ত্রাস, দুর্নীতি করেছে আমরা সেই অমানিশার অন্ধকারে ফিরে যেতে চাই না। তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।