বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত হয়েছে টঙ্গিতে। হামলা সংঘর্ষে মুন্সিগঞ্জের ইসমাইল মন্ডল (৭০) মারা গেছেন বলে এক পক্ষ দাবি করেছে। তবে তার লাশ কোথায় আছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সকাল থেকে ইজতেমা ময়দান দখলে নিতে মাওলানা সাদপন্থিরা ইজতেমা ময়দানের আশপাশে অবস্থান নেয়। তারা এক পর্যায়ে মাওলানা জুবায়েরপন্থিদের ওপর হামলা করে। হামলার সময় ইজতেমার স্থায়ী প্যান্ডেলে অনেকে ঘুমিয়ে ছিলেন। সংঘর্ষ শুরু হলে থেমে থেকে তা দুপুর পর্যন্ত চলে। লাঠিসোটা নিয়ে সাদপন্থিরা হামলা করলে জুবায়ের পন্থিরা ইটসুরকি দিয়ে ঢিল ছুড়ে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে।
হামলা সংঘর্ষের ঘটনায় বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্ররা যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে সড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সকাল থেকে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে পুরো এলাকায়। সংঘর্ষে অন্তত দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে শতাধিক মুসল্লিকে ভর্তি করা হয়েছে টঙ্গি হাসপাতালে। বাকিদের ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুপুরের পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে প্রবেশ করে দুই পক্ষকেই মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে শুরু করে। ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার প্রবীর কুমার দাশ জানান, আজ ভোর থেকেই আশকোনা এলাকায় মারমুখী অবস্থান নেয় তাবলিগ জামায়াতের দুই গ্রুপ। উত্তরার আবদুল্লাহ পুরে অবস্থান নিয়েছে আরেক পক্ষ। সংঘর্ষের পর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় সড়ক স্থবির হয়ে পড়েছে। তারা সড়কে অবস্থান নেয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।