নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না লড়াই ছাড়া কোন বিকল্প দেখছেন না । তিনি বলেন, যত গ্রেপ্তার, ধরপাকড়ই হোক না কেন, লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আজ দুপুরে জাতীয় প্রসে ক্লাবে আদর্শ নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে মান্না এসব কথা বলেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম এই নেতা বলেন, আমি লড়াই ছাড়া কোনো বিকল্প দেখি না। কিন্তু লড়াইটা করবেন কী করে? নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে স্বৈরাচারী সরকার। কিন্তু তবুও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। বলেন, আমার আসনে তেমন কেউ নেই। আমি সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা, তাই বগুড়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগও আমার বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস পায়নি। পুলিশ দমাতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে।
মান্না বলেন, আমার পাশে বসে আছেন মওদুদ ভাই।
নির্বাচনে তিনি লড়াই করবেন ওবায়দুল কাদের সাহেবের সঙ্গে। এই ওবায়দুল কাদের সাহেব কাউকে বন্দি রেখেও কবিতার মতো করে গুছিয়ে মিথ্যা বলেন। তবে স্থানীয় জনগণ একটা কথা বলে, একবার সুযোগ পেলে আওয়ামী লীগকে দেখে নেবো।
এবারের নির্বাচনি পরিস্থিতি অন্যরকম উল্লেখ করে মান্না আরও বলেন, এবার সবাইকে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়তে হবে। আমাদের একশ’ জনকে গ্রেপ্তার করলে এক লাখ কর্মীকে তার জবাব দিতে হবে।
‘হাসিনা: আ ডটার্স টেল’ প্রামাণ্যচিত্র প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, আপনারা একজনকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন। কিন্তু জিয়াকে নিয়ে একটা বানিয়ে দেখেন, গ্রাম থেকে শহর তোলপাড় হয়ে যাবে। মানুষের ঢল নামবে সেই সিনেমা দেখার জন্য।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যা মওদুদ আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের নির্দেশ পালন করছে। তাই আমি তাদের দোষ দেখি না। সরকার নির্বাচন কমিশনকে তাদের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যবহার করছে। মুখে এক কথা, মনে আরেক কথা বলে এই নির্বাচন কমিশন। তারা পুলিশের শেখানো বুলি পাঠ করছে।
মওদুদ বলেন, আমার আসনে বর্তমান মন্ত্রীকে আমি পাঁচ বার পরাজিত করেছি ৪৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে। ২০০৮ সালে ১৩শ’ ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলাম। ২০১৪ সালে তো ছেড়েই দিয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিয়েছি। বলেন, আমি অন্য কোনো আসন থেকে নির্বাচন করলে সহজে জিতে যেতাম। তাই অন্য আসনে নির্বাচন করিনি। আমি লড়তে চাই, ওবায়দুল কাদের সাহেবের সঙ্গে। দেখি, তিনি কিভাবে জেতেন।
অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।