চট্টগ্রাম, ০৮ মে : ১৩ বছরের কিশোরী কন্যা গণধর্ষনের শিকার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউখালী রাস্তার মাথা এলাকায় শনিবার (৭মে) দিনগত গভীর রাতে দিন মজুরের ১৩ বছরের কিশোরী কন্যা গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। গুরুতর আহত কিশোরীকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করে। শনিবার (৮মে) ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
ধর্ষিতার মা বুলু বেগম জানান, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউখালী রাস্তার মাথা এলাকার জনৈক মো. জসিমের ভাড়া বাসায় থাকেন তারা। শনিবার দিনগত রাত আড়াইটায় প্রতিদিনের মতো বুলু বেগম ও তার ৩ ছেলে ১ মেয়ে ভাড়া বাসার এক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। ঐ রাতে ধর্ষিতার পিতা ট্রাক ভর্তি ইট নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে কাজে যান। এ সুযোগে ঘরে অজ্ঞাত নামা ৩ জন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে কিশোরীর গলায় ছুরি ঠেকায়। তাকে ছুরির ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ৩ জন ধর্ষন করে। ঘরের বাইরেও দুইজন দা, কিরিচ নিয়ে পাহারায় ছিলেন। এ সময় কিশোরীর মায়ের হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়। সে চিৎকার করতে চাইলে তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। পরে কৌশলে কিশোরীর মা বের হয়ে প্রতিবেশীদের ডাকতে যায়। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজনের শোরগোলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনা জানা জানি হলে কিশোরীর মা সন্দেহ জনক কয়েকজনের নাম স্থানীয়দের জানালে স্থানীয়রা ৪ জনকে আটক করে রানীর হাট পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করে। আটককৃতরা হলেন ইসলামপুর ইউনিয়নের জোরের কুল গ্রামের মুফিজুল হকের পুত্র সাহেদ আলম (২৭), সাদেক নগর গ্রামের মৃত মুন্সি মিয়ার পুত্র নুরুল ইসলাম (২২), হরিনা টিলা এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মো. নাজিম (২৬) , দক্ষিন রাজা নগর ইউনিয়নের বড়ং ছড়ি নতুন পাড়া এলাকার মো. রফিকের পুত্র মো. ফারুক (২৪)।
ইসলামপুর ইউনিয়নের ৫ নংওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম সিটিজি টাইমসকে জানান, ধর্ষিতার পরিবার খুবই নিরীহ । ধর্ষিতার বাবা দিন মজুরের কাজ করে। ঘটনা সকালে এলাকায় জানাজানি হলে আটককৃতদের সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করে।
ধর্ষিতা কিশোরী জানায়, তার উপর একজন ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে তাকে পর্যায়ক্রমে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে ধর্ষকরা তাকে মৃত মনে করে ও প্রতিবেশীদের শোরগোল শুনে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে কিশোরী।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আয়শা পারভিন জানান, প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে কিশোরী ধর্ষনের শিকার। তার অবস্থা খুব খারাপ। তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানোর জন্য ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিটিজি টাইমসকে বলেন, ভিক্টিমকে উপজেলা হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি(ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টার)তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।