সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন সম্ভব নয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতির কুফল সম্পর্কে মানুষকে সচেতন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করা গেলেই দুর্নীতি প্রতিরোধ সহজ হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (সিপিসি) , সমন্বিত জেলা কার্যালয়সমূহ এবং সততা সংঘের সদস্যদের কাজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন থাকতে হবে।
গতকাল দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটিগুলির (সিপিসি) কাঠামোর অধীনে ইন্টিগ্রিটি ইউনিটগুলির অপারেশন পারফরমেন্স মূল্যায়ন ও শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক গবেষণার অন্তবর্তী প্রতিবেদনের ওপর এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক দেশের প্রতিটি মহানগর, জেলা, উপজেলা , এমনকি ইউনিয় পর্যায়ে তিন হাজার ৭১৫টি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এবং ২৫ হাজার ৩৭১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা সংঘ গঠন করলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নৈতিক মূল্যবোধকে আরও শাণিত করার ইপ্সিত লক্ষ্যে পুরোপুরি পৌঁছাতে পারেনি। এ কারণেই কমিশন এ জাতীয় গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গবেষণার নির্যাস হতে হবে সুনির্দিষ্ট দিগনির্দেশনাপূর্ণ, যাতে কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। তিনি বলেন, সততা সংঘের সদস্য কিংবা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা নিজেরাও নিজ নিজ জীবনে সততা ও নৈতিকতার চর্চা করেন কি-না গবেষণায় তা স্পস্টভাবে থাকতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত থাকতে হবে।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ এবং প্রধান গবেষক শাহজাবীন কবির বক্তব্য দেন।