প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ শুরুর আগে দেশের স্বার্থে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন । বলেছেন, এই দেশটাকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হলে এই ঐক্য জরুরি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ১৭ ও ক্ষমতাসীন জোট ১৪ দলের চারটি শরিক দলের নেতা টেবিলের এক পাশে বসেন। অপর পাশে বসেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ফ্রন্টের ২১ জন।
সন্ধ্যা সাতটায় এই সংলাপ শুরুর আধা ঘণ্টা আগে থেকেই গণভবনে একে একে আসতে থাকেন নেতারা। তাদেরকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী।
এক টেবিলের দুই পাশে দুই পক্ষ বসার পর প্রথমে কথা বলেন শেখ হাসিনা। তুলে ধরেন তার সরকারের সাফল্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নয় বছর ক্ষমতায় থেকে দেশের যা উন্নয়ন করেছে তা সবাই দেখতে পেয়েছেন। এখন এই দেশটাকে আরও সুন্দর ভাবে গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
‘এই দেশটা আমাদের সকলের, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমি এটা বিচারের ভার আপনাদের উপর ছেড়ে দেব দীর্ঘ নয় বছর ১০ মাস হতে চলল, আমার সরকার এই সময়ের মধ্যে দেশে কত উন্নয়ন করতে পেরেছি।’
‘এটুকু বলতে পারি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সাধারণ মানুষ ভালো আছে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে। দিনবদলের যে সূচনা করেছিলাম সেই দিন বদল হচ্ছে। এটাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মহান নেতা জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা এ স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজকে সেই স্বাধীনতার সুফল যেন, প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারে সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্যে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।’
শেখ হাসিনার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর দুই পক্ষ আলোচনা শুরু করে। তবে সেখানে গণমাধ্যমকর্মীরা থাকেননি।
এই সংলাপে বসার অনুরোধ করে ড. কামাল হোসেন গত রবিবার চিঠি পাঠান প্রধানমন্ত্রীকে। আর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পরদিন জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রধানমন্ত্রী সংলাপে বসবেন।