৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তফসিল কবে- এ নিয়ে । রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদেরকে এ কথা জানান সিইসি।
বেলা চারটার দিকে চার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম এবং শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী এবং কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে নিয়ে বঙ্গভবনে যান সিইসি।
বৈঠক শেষে বেলা সোয়া পাঁচটার দিকে বঙ্গভবন থেকে বের হন সিইসি। এই বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একটা জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচন হবে, সেটা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা, যে আমরা কী করলাম, নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি কতদূর, ভোটার তালিকা হলো কি না, কেন্দ্র কতদূর হলো, এই জাতীয় বিষয়গুলো রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করতে হয়। এটা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া বা নেয়ার বিষয়ের সঙ্গে জড়িত না।’
তফসিলের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘না, না, না, তফসিল নিয়া কোনো আলোচনা হয়নি, তফসিলের ব্যাপারে আমরা ৪ তারিখ মিটিং করব, সেদিন সিদ্ধান্ত হবে, কমিশন বসবে।’
৩ তারিখও মিটিং আছে, তবে সেটা তফসিল নিয়ে না।
সিইসিকে মিনিট চারেক ধরে ছোট ছোট নানা প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। আর তিনি জবাব দেন সংক্ষিপ্ত আকারে।
-‘কবে হতে পারে তফসিল?’
-‘এটা জানি না, কমিশনে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
-‘নির্বাচন ২৭ তারিখ (ডিসেম্বর) হতে পারে বলে রাষ্ট্রপতিকে তথ্য জানিয়েছেন কি না।’
-‘না, না, না, এটা জিজ্ঞেসই করেননি তিনি।’
-সংলাপ শুরু হয়েছে, এখন সংলাপের শেষটা দেখে অপেক্ষা করে তফসিল দেবেন কি না।’
– ‘এটা সিদ্ধান্ত আমরা দেইনি। সংলাপ য়ে চলে তার ওপর আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আমরা ৪ তারিখের আগে কিছু বলতে পারব না তফসিল কবে করব।’
-‘তফসিলের ঘোষণা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে দেবেন, সেটা হবে হবে?’
-‘ঘোষণা হবে যেদিন আমি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেব, সেদিন হবে ঘোষণা দেব।’
-‘এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কী বলেছেন?’
-‘রাষ্ট্রপতি কিন্তু এগুলো নিয়ে কিছু বলেননি।’
-‘আপনাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি শুনে রাষ্ট্রপতি কি সন্তুষ্ট?’
-‘হ্যাঁহ, রাষ্ট্রপতি আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট।’
-‘কবে তফসিল হতে পারে, তার একটা খসড়া তো আছে। সেটা কবে?’
-‘খসড়া তো মনে মনে আছে, কিন্তু মিটিং হলে কমিশনের মাধ্যমে তা চূড়ান্ত হবে।’
-‘নির্বাচন কি ডিসেম্বরে হবে নাকি জানুয়ারিতে যেতে পারে?’
-‘এটা তো এখন বলা যাবে না। আমরা ৪ তারিখ বসলে তখন চিন্তা করব।’
-‘প্রস্তুতি অনুযায়ী কবে নাগাদ করতে পারবেন?’
-‘আমরা প্রস্তুত, আমরা তো ৭ দিনের মধ্যে করতে পারব।’
-সাত দিনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাখ্যাটা কী?’
-‘এর ব্যাখ্যা নাই, এগুলোর কোনো ব্যাখ্যা হয় না।’
নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন তখন বলেন, ‘এর মানে হচ্ছে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।’
-‘নির্বাচন নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কী?’
-‘নির্বাচন পরিকল্পনা বলতে, সংবিধানে যেভাবে বলা আছে সেভাবে হবে।’
-৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সাবেক সিইসি বলেছিলেন বিএনপি যদি ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না আসবে, তাহলে একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেবে তারা। এবার বিএনপিকে উদ্দেশ্যে কী বলবেন?
-‘কিছুই বলব না, রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য আমাদের কিছু বলার নাই।’
-‘আপনারা এমন আস্থা তৈরি করতে পেরেছেন যে সব দল নির্বাচন অংশ নেবে?’
-‘আমাদের আস্থা আছে, আমাদের বিশ্বাস আছে যে, সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে।’
-‘আপনাদের ওপর সব দল আস্থা রাখতে পারবে?’
-‘এটা জানি না।’