একমাত্র ঢালাই আয়রন ব্রীজটি সোমবার ভোররাতে বালু ভর্তি একটি বলগেটের ধাক্কায় ভেঙে খালে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ঝালকাঠির রাজাপুরের গালুয়া-সাতুরিয়া ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের চাড়াখালি বাজার সংলগ্ন পোনা নদীর উপরের ।
পুলিশ এ ঘটনায় সুকানী ও মিস্ত্রীসহ বলগেটটি আটক করেছে। ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে গালুয়া ও সাতুরিয়া ইউনিয়নেয়র অন্তত ২০ টি গ্রামের মানুষ।
অপরদিকে ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ায় ওই খাল দিয়ে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ায় ব্রীজের দুই প্রান্তের রোগী, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার মধ্য চাড়াখালি সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একে আজাদ খান জানান, ভোররাতে বালু ভর্তি এ বলগেটের ধাক্কায় জনগুরুতপূর্ণ ব্রীজটির মাঝ বরাবরে ভেঙ্গে খালের মধ্যে পড়েছে এবং প্রচন্ড ধাক্কার কারনে ব্রীজের দুই পাশ ভেঙে খালে পড়েছে।
সাতুরিয়া, গালুয়া দুই ইউনিয়নের একমাত্র সংযোগ সড়কের এ ব্রীজটি ভেঙে পড়ায় ১০৭ নং মধ্য চাড়াখালি সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়, চাড়াখালি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৭ নং চাড়াখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীর স্কুলে যাওয়া আসায় সমস্যা দেখা দিয়েছে।
কোমলমতি অনেক শিক্ষার্থীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া আশপাশের প্রায় ২০ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থায় চরম দুর্ভোগ দেয়া দিয়েছে। ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় জনদুর্ভোগ চরম দেখা দিয়েছে। যদি দ্রততম সময়ের মধ্যে ব্রীজটি মেরামত কিংবা পুনঃনির্মাণ না করা হলে চারাখালি বাজারে ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নামতে পারে এবং স্থানীয়দের নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কাজও ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করেন স্থানীয়রা।
রাজাপুর থানার ওসি শামসুল আরেফিন জানান, এ ঘটনায় ভান্ডারিয়ার নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন হিযরত-১ নামের বলগেট, পাথারঘাটার কালমেগা গ্রামের মজিদ খানের ছেলে বলগেটের সুকানি হাসান খান (৩০) ও ভান্ডারিয়ার উত্তর গৌরিপুর গ্রামের মফিজুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে বলগেটের মিস্ত্রী সাইমুন হাওলাদার (২৩) কে আটক করা হয়েছে। বলগেটের সুকানির ভুলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটলেও কোন হতাহত ঘটনা ঘটেনি।
এলজিইডির রাজাপুর উপজেলা প্রকৌশলী লুৎফর রহমান জানান, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে চাড়াখালি গ্রামের পোনা নদীর উপরে আরডিপি প্রকল্প-১৯ এর আওতায় এলজিইডির সার্বিক দেখভালের মাধ্যমে ব্রীজটি নির্মান করা হয়েছিলো।