সাদিক খান লন্ডনে মেয়র নির্বাচনে ১১ প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন লেবার পার্টির প্রার্থী ।
বিবিসি বলছে, ঘোষিত ফলে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান ৫৬ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির জ্যাক গোল্ডস্মিথের প্রাপ্ত ভোট ৪৩ দশমিক ২ শতাংশ।
নির্বাচনে সাদিক পেয়েছেন ১৩ লাখ ১০ হাজার ১৪৩ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোল্ডস্মিথ পেয়েছেন ৯ লাখ ৯৪ হাজার ৬১৪ ভোট।
সাদিক খানই হচ্ছেন লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র, যিনি লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত টুটিংয়ের এমপি।
জয়ী হওয়ার পর দেওয়া ভাষণে খান বলেন, তিনি কখনো কল্পনা করেননি তার মতো কেউ লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হতে পারেন।
তিনি লন্ডনের সব বাসিন্দার মেয়র হবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় অনেক বিতর্ক ছিল। কিন্তু আমি সত্যি গর্বিত, আজ লন্ডন ভয়ের পরিবর্তে আশাবাদকেই বেছে নিয়েছে।
তিনি যোগ করেন, “ভয়ের রাজনীতিকে আমাদের শহরে স্বাগত জানানো হবে না।”
গোল্ডস্মিথ ও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পর্যায়ক্রমে অভিযোগ করেছিলেন, সাদিক খানের সঙ্গে মুসলিম উগ্রপন্থিদের যোগসূত্র রয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারণায় সাদিক খান লন্ডনবাসীদের পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সাশ্রয়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করার উপর জোর দেন।
চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই শেষবারের মতো মেয়রের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে লন্ডনবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বরিস জনসন।
তিনি বলেছেন, “সিটি হল ছাড়ার সময় হলো। আপনাদের মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি ধন্য।”
গেল সেপ্টেম্বরে লেবার পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ে পঞ্চম দফা ভোটে প্রায় ৫৯ শতাংশের সমর্থন পেয়েই জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই বাসচালকের ছেলে সাদেক খান।
লেবার পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগে অবশ্য তিনি ছিলেন মানবাধিকার আইনজীবী।
স্কটল্যান্ডের নির্বাচনে লেবার পার্টির শোচনীয় ভরাডুবির পর লন্ডনের মেয়র নির্বাচনে জয় দলটিকে রাজনীতির মাঠে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।