প্রায় অর্ধশতাধিক আত্মহত্যায় মৃত্যু হয়েছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় নয় মাসে । ১১-৮০বছরের মধ্যে বৃদ্ধ, শিশু, কিশোর, যুবক-যুবতি, গৃহবধুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছেন।
আত্মহত্যার এ প্রবনতা গানিতিক হারে বৃদ্ধি হওয়ায় সমাজের সবাই খুব শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন ।
থানার খতিয়ান বহি সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৯ মাসে প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তির আত্মহত্যায় মৃত্যু হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মৃত্যুর কারণে রয়েছে কলেজ ছাত্রের প্রেমে ব্যর্থতা, নেশার করার জন্য টাকা না পাওয়া, বেকারত্ব, ধূমপানে স্কুল ছাত্রকে নিষেধ করা, স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া, পেটের পীড়া এবং জটিল রোগে অসহ্য যন্ত্রনাসহ বিভিন্ন কারণ। সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
২৮শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে রাজিব (২০) নামের একজন কলেজ ছাত্র ইঁদুর মারার টেবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন। সে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের সহরাবের ছেলে। ২১শে সেপ্টেম্বর নন্দন পুর ইউনিয়নের হাটবাড়ীয়া গ্রামের আহসান (৮০) নামের একজন বৃদ্ধ অসুস্থতার কারণে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।
১৭ই সেপ্টেম্বর ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ভৈরবপুর গ্রামের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র সিপনকে (১১) ধূমপানের জন্য তার পিতা শাসন করলে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। ১৫ই সেপ্টেম্বর নন্দন পুর ইউনিয়নের উত্তর শোলাবাড়ীয়া গ্রামের ৫ সন্তানের জননী আলেয়া (৬০) জটিল রোগের ভোগান্তি সহ্য করতে না পেরে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।
১২ই সেপ্টেম্বর সামান্যপাড়া গ্রামে রহিমন (৩৫) নামের একজন গৃহবধু তার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করে।
৯ই সেপ্টেম্ব দুপুরে উপজেলার চরপাড়া গ্রামে টিক্কা খানের স্ত্রী রবিয়া খাতুন (৪০) কীটনাশক বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে।
৫ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে মঙ্গলগ্রামের লুথু (৫৫) নামের একজন বৃদ্ধা গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত আত্মহত্যার এ প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মজিদ বলেন, ইদানিং সাঁথিয়ায় আত্মহত্যা বিষয়টি মামুলি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠুনকো কথাতেই সবাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।