মৃত আলাউদ্দীনের স্ত্রী সকিনা বেগম শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার। তার চার ছেলে ও এক মেয়ে। অভাবের সংসার, কারণ সহায় সম্বল সব কেড়ে নিয়েছে রাক্ষুসী পদ্মা। মেয়ের বিয়ে হয়েছে আর ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে দুই ছেলে নাসির ও শাহজাহান পাড়ি জমিয়েছে ইতালী। আরেক ছেলে মাসুদ মদিদোকানে চাকুরী করে। ছোট ছেলে মামুন অনেক টাকা ধার করে ইতালী যাওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়েছে। ইতালী থাকা দুই ছেলের পাঠানো টাকায় ফের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে পরিবারটি। নির্মাণ করে দ্বিতল বাড়ি। পদ্মার ধাক্কা সামলে নতুন ভবনে সুখে শান্তিতে ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি-নাতনি সহ ১৪ জন থাকতেন।
কিন্তু সে স্বপ্ন বেশি দিন স্থায়ী হয়না। ২৫শে সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে নতুন আবাস নতুন স্বপ্ন রাক্ষসী পদ্মার গর্ভে ফের বিলীন হয়ে যায়। পরিবারের সবার এখন আশ্রয় নিয়েছে ছেলের শ্বশুর বাড়িতে। সকিনা বেগম গত বছর হজ করেছেন। তিনি হজ¦ করে আসার পর এখনও ছেলেরা বাড়ি আসি নাই। তাদের কষ্টে পাঠানো টাকার নির্মাণ করা সেই বাড়ি আজ আর নেই।
স্বামীহারা সকিনা বেগম বলেন, জায়গা-জমি-ঘর-বাড়ি সব নিয়ে গেছে রাক্ষসী পদ্মা। আমাদের এখন আর মাথা গোজার ঠাই নাই। এই পদ্মা আমাকে দু’বার নিঃস্ব করল। আমি অনেক সুখে ছিলাম। আল্লাহ সেই সুখ নিয়ে গেল। আমিতো সুখ পেলামনা তাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি, আল্লাহ আমার ছেলেদের সুখ দাও।