প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় নদী ভাঙনকবলিত বাসিন্দাদের পাশে না দাঁড়ানোর জন্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । বলেছেন, বিপদের সময় মানুষ সহায়তা চায়। আশ্রয় চায়। এ সময় তাদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে কে কে নড়িয়া গিয়েছেন ওই সম্পর্কে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা এ সময় চুপচাপ ছিলেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় পদ্মার ভাঙনে ব্যাপক জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীভাঙনের কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির ঘটনায়ও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

পাশাপাশি এখন থেকে ভাঙনকবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে মন্ত্রী, স্থানীয় এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নদী ভাঙনের ভয়াবহতা বিষয়ে কেউ না জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে নদী ভাঙনকবলিত এলাকার এমপি, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীসহ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাদ্র মাস সবে শেষ হলো। ভাদ্র মাসে নদীর পানিতে টান ধরে। এ সময় নদী ভাঙনের ঘটনা ঘটে। যা প্রাকৃতিক। তবে কোন এলাকায় নদী ভাঙন হবে, তা আগে থেকে বোঝা যায় না। তারপরও দেশের যেসব এলাকার নদী ভাঙনকবলিত হিসেবে আগে থেকে চিহ্নিত রয়েছে, সেসব এলাকায় নদী ভাঙন রোধে পূর্বপ্রস্তুতি নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু সে রকমভাবে কোনো প্রস্তুতি নেয়া হয়নি। এজন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিকসহ সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে ব্যাপক নদী ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। পদ্মানদীর ভাঙনে নড়িয়ার কেদারপুর, মোক্তারের চর ইউনিয়ন ও নড়িয়া পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ইতিমধ্যেই পদ্মার বুকে বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মার ভাঙনে এ পর্যন্ত সেখানে ৫ হাজার ৮১টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। আরো ঝুঁকিতে রয়েছে ৮ হাজার পরিবার। দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় স্থাপনাসহ হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এজন্য খোলা আকাশের নিচে নিঃস্ব হওয়া হাজার হাজার পরিবার অবস্থান করছে।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031