৬ দফা দাবীতে পুলিশ কর্তৃক অনিবন্ধিত সিএনজি অটো রিক্সা চলাচলে বাধা প্রদানের প্রতিবাদসহ ৬ দফা দাবীতে ৯মে সোমবার বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাচ জেলায় সকল রুটে ২৪ ঘন্টা সর্বাত্মক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখা এ কর্মসূচীর ঘোষণা দেয়।
(৫ মে ২০১৬) সকাল ১১ টায় সংগঠনের ৪৪নং বিআরটিসি মার্কেটস্থ কার্যালয়ে আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ফেডারেশন সর্বসম্মতিক্রমে ধর্মঘটের কর্মসূচি গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চলীয় কমিটির সভাপতি মৃনাল চৌধুরী জানিয়েছেন, পুলিশ গত কয়েক দিনে প্রায় ২৪’শ অনিবন্ধিত অটোরিক্সা আটক করেছে, অথচ এইসব অটোরিক্সা চলাচল করার জন্য উচ্চাদলতের নির্দেশ আছে, এই অবস্থায় ২৪ঘন্টা ধর্মঘট পালন ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই।
ফেডারেশেনের সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয় বিগত ২০১৩ সালে ১৩ মার্চ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় কর্তৃক চট্টগ্রামে ৪ হাজার নতুন অটো রিক্সার নিবন্ধন প্রদানের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ৯ এপ্রিল ২০১৩ইং তারিখে আগে আসলে আগে পাবেন, নিয়মনীতির ভিত্তিতে রেজিষ্ট্রেশন প্রদানের বিষয়ে চট্টগ্রাম বিআরটিএ সার্কুলার জারি করে। কিন্তু ১লা ফেব্রুয়ারী ২০১৬ইং সিএনজি অটো রিক্সাতে মিটার লাগানোর অজুহাতে সিএমপি চট্টগ্রাম মহানগরীতে অনিবন্ধিত সিএনজি চলাচল আবারো বন্ধ করে দেয়।
নানা দেন-দরবার ও আন্দোলন সংগ্রামের পরও রেজিষ্ট্রেশন না হওয়ায় চট্টগ্রাম অটো রিক্সা অটো টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনে রীট আবেদন (পিটিশন নং-৫১০৮/২০১৬) দায়ের করা হয়।
পিটিশনটির উপর গত ২৫ এপ্রিল ২০১৬ইং তারিখে প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ করে আদালত চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় নিজস্ব নাম্বার সম্বলিত ষ্টীকার সংযুক্ত ইউনিয়ন সদস্যদের ৩ হাজার ১১টি সিএনজি অটো রিক্সা চলাচলে হস্তক্ষেপ/বাধা প্রদান না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করে। সুনির্দিষ্ট নির্দেশ থাকা সত্বেও অনিবন্ধিত সিএনজি অটো রিক্সা চলাচলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক বেআইনী ভাবে বাধা প্রদান ও কয়েকশত সিএনজি অটো রিক্সা আটক করা হয়।
সভায় অবিলম্বে অনিবন্ধিত সিএনজি অটো রিক্সার রেজিষ্ট্রেশন প্রদান, পুলিশের রিকুইজেশন ও টোকেন বাণিজ্য বন্ধ, পরিবহন শ্রমিকদের উপর শারীরিক নির্যাতনসহ পুলিশী নির্যাতন বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দরে গেইট পাশের নামে ট্রাক প্রতি অবৈধ ভাবে ৯৮ টাকা ও ভেতরে ইউনিয়নের নামে ১০ টাকা আদায় বন্ধ করা, মেঘনা ও গোমতি সেতুতে ট্যাংক লরি থেকে ৫০০ টাকার পরিবর্তে অবৈধ ১২৫০ টাকা টোল আদায়ের প্রতিবাদসহ ইত্যাদি দাবীতে বৃহত্তর চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী শ্রমিকদের ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানানো হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চল (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) কমিটির সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি হাজী রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির কার্যকরী সভাপতি রবিউল মাওলা, সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ, আবদুস সবুর, মো: হারুন, খোরশেদ আলম, হুমায়ুন কবির, মো: ইউসুফ, হারুনুর রশিদ, সুধীর দাশ, মো: ইয়াছিন, নুরুল ইসলাম, শফিকুর রহমান, শাহ্ আলম হাওলাদার, নুর মোহাম্মদ, মো: সেলিম, কামাল উদ্দিন, মো: সোলায়মান, রফিকুল ইসলাম, ফারুক হোসেন প্রমুখ সড়ক পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।