৩৬৭ জন চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন । এর মধ্যে ক্রসফায়ারে ৩৬১ জন, গুলিতে ২ জন এবং নির্যাতনে মারা গেছেন আরো ৪ জন। এছাড়া দেশে গুমের শিকার হয়েছেন ২৭ জন। মানবাধিকার সংস্থা অধিকার এক প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান দিয়েছে। গতকাল প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে চলতি বছরের শুরু থেকে গত ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেছে।
অধিকার ১২টি ক্যাটাগরিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের পাশাপাশি কারাগারে মৃত্যু হয়েছে ৫১ জনের। ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফ-এর নির্যাতনে বছরের প্রথম ৮ মাসে নিহত হয়েছেন ৪ বাংলাদেশি। এছাড়া ১৩ বাংলাদেশি আহতের পাশাপাশি ৯ জনকে অপহরণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৬৬টি। এরমধ্যে আহত হয়েছেন ৪০ গণমাধ্যমকর্মী, লাঞ্ছিত হয়েছেন ১৭ জন এবং হুমকির সম্মুখীন হয়েছে আরো ৯ সাংবাদিক। রাজনৈতিক সহিংসতায় চলতি বছরে নিহত হয়েছেন ৫৪ জন, আহত হয়েছেন আরো ২৭১৪। যৌতুকের কারণে সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১০৬ নারী, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪৭৫টি, যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছেন ১২১ জন, এসিড সন্ত্রাসের শিকার ২৩ জন, গণপিটুনিতে মারা গেছেন ৩৫ জন। অধিকার শ্রমিকদের পরিস্থিতিও তুলে ধরেছে। বলেছে, তৈরী পোষাকখাতে বিভিন্ন ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ জন, আহত হয়েছেন ১৩২ জন। এছাড়া অন্যান্য কর্মে নিয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৭০ জন, আহত হয়েছেন আরো ৩১ জন। অধিকার তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার কারণে ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার, গুজব ছড়ানো ও সরকার বিরোধী’ পোস্ট দেয়ার কারণে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রতিবেদনে মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনায় অধিকার বলেছে, গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতামূলক সরকারের অভাবে মত প্রকাশ ও সভা-সমাবেশের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এই সময়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালালে পুলিশের হাতে দমন-পীড়নের শিকার হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তদের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে দেখা গেছে। এরা আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের কর্মী বলে অভিযোগ ওঠলেও সরকার তা অস্বীকার করেছে।
পর্যালোচনায় আরো বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলাসহ একজন বিশিষ্ট নাগরিকের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফটোগ্রাফার ও মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, গুম এবং হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা এ সময়ে সরকারিদলের সমর্থক-দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছে।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |