চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে আটক এক নারীর কাছ থেকে জানা যায়, বিশেষ কৌশলে স্কচটেপে মুড়িয়ে জুসের সঙ্গে ইয়াবা খেয়ে তা চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করাই সেতারার একমাত্র তার কাজ।
সোমবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে সেতারা বেগমকে আটক করার পর এমন সব তথ্য দেন তিনি। আটক সেতারা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার জাবের এর স্ত্রী।
গোয়েন্দা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো.মোকতার হোসেন বিষয়টি শীর্ষ নিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর সিনেমা প্যালেস এলাকার এস আলম কাউন্টারে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে বসে ছিল সে। তার কথা বার্তায় ও আচরণে সন্দেহজনক মনে হলে মহিলা কনস্টেবল দ্বারা আসামির দেহ তল্লাশি করে কিছু না পাওয়ায় পরে পুলিশ জামাল খান সেনসিভ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কম্পিউটা রাইজড রোগ নিরূপনী কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
পরে তার পাকস্থলী এক্স-রে করানো হয়। এক্স-রের রিপোর্টে তার পেটের ভিতর গোলাকার বস্তু দেখা যায়। সন্দেহজনক বস্তুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা আছে বলে স্বীকার করে এবং তাকে কিছু পানীয় জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হলে তা মলত্যাগের মাধ্যমে বের করে দিতে পারবে বলে জানান সেতারা।
তিনি আরও জানান, আনুমানিক ১২ ঘণ্টা পরে মলত্যাগের মাধ্যমে তার পায়ুপথ দিয়ে কালো স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো একে একে ১৫টি পোটলা বেরিয়ে আসে। ১৫টি পোটলায় মোট ৬০০ পিস ইয়াবা রয়েছে বলেও জানায় সে।
যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।
আসামির বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মাদক দ্রব্য আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন সিনেমা প্যালেস বাস স্ট্যান্ড এর পাশে এস আলম কাউন্টারে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে আসামি সেতারা বেগম (২০), স্বামী জাবের, পিতা জলিল, মাতা রমিজা বেগম, গ্রাম-লেদা এ-ব্লক বাড়ি নম্বর ১৯৭, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার অবস্থান করছে। পরে তাকে ধরা হয়।