বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পবিত্র হজ পালনে যাওয়া মুসল্লিরা মিনায় যেতে শুরু করেছেন । সৌদি আরবের মিনায় মুসল্লিদের জড়ো হওয়ার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। শনিবার সন্ধ্যায় মক্কা থেকে মিনায় আস্তে আস্তে যাত্রা শুরু করেন মুসল্লিরা। এবার প্রায় ২০ লাখ মানুষ হজ পালন করছেন। হাজিরা আজ রাতে মিনায় অবস্থান করবেন। সোমবার (২০ আগস্ট) ফজরসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পর তারা যাবেন মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আরাফাতের ময়দানের দিকে।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সকালে ফজরের নামাজ শেষে হাজিরা আবার ফিরে আসবেন মিনায়। বুধবার (২২ আগস্ট) সকালে জামারাতে পাথর নিক্ষেপ ও পশু কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম ত্যাগ করবেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন হাজিরা। হজ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করতে সৌদি আরবের সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। বাদশাহ সালমানের উপদেষ্টা প্রিন্স খালিদ আল-ফয়সাল হজ ব্যবস্থাপনা তদারকি করছেন।
হজের নিরাপত্তা প্রধান জানিয়েছেন, এবার হজযাত্রীদের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবে হাজিদের চূড়ান্ত সংখ্যা মঙ্গলবার ঈদুল আজহার দিন ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল মনসুর আল-তুর্কি।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৬ জন হজ পালন করছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অফিস ঢাকার পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সৌদি আরবের বাংলাদেশ মিশনসহ প্রায় ২৫০ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা হজ পালনের সময় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে মোতায়েন থাকবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বেশিরভাগ কর্মকর্তা ইতোমধ্যেই সৌদি আরব গিয়েছেন বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সহযোগিতা ও জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য। জেদ্দা, মক্কা ও মদিনাতে তিনটি মেডিক্যাল স্থাপন করা হয়েছে। এসব ক্যাম্পে ৩০ জন চিকিৎসক ও নার্স হজযাত্রীদের চিকিৎসা সেবা দেবেন। একেবারে জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে স্থানীয় হাসপাতালে হজযাত্রীদের পাঠানোর ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।