দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে বিল পাস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৩ মে) স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০১৬’ নামে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। তবে তাদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। ওই প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হলে উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হবে। যার মাধ্যমে আরও দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বর্তমানে দেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’ একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
বিলের বিধান অনুযায়ী, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দু’টিতে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠদান করা হবে। সাধারণত ব্যাচেলর ডিগ্রি কলেজ পর্যায়ে পড়ানো হলেও নার্সিংয়ের ব্যাচেলর ডিগ্রি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হবে। যা একটি ব্যতিক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর (আচার্য) হবেন রাষ্ট্রপতি। চার বছরের জন্য ভিসি (উপাচার্য) নিয়োগ দেওয়া হবে। একজন সর্বোচ্চ পর পর দুই মেয়াদে ভিসি থাকতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোভিসি থাকবেন একজন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগ দেওয়া হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ হিসেবে থাকবে সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, ফ্যাকাল্টি, ডিনস কমিটি, কারিকুলাম কমিটি, ফাইন্যান্স কমিটি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সিন্ডিকেটের সভাপতি হবেন ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি)। এছাড়া সিন্ডিকেটে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি রাখা যাবে।