পুলিশ ইয়াবা সাম্রাজ্যে বড় ভাইদের ভিড়ে এবার এক বড় আপার সন্ধান পেয়েছে। ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ইকবাল হোসেন মামুন (২৭) পুলিশকে ইয়াবা সাম্রাজ্যের এক বড় আপার তথ্য দিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত মামুন রামুর চরপাড়া অফিসের চর এলাকার কবির আহমদের ছেলে ও পেশায় রং মিস্ত্রী। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসী জানান, গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম পুরাতন রেল স্টেশনের একটি চায়ের দোকানের সামনে থেকে মামুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় তার এক নারী সহযোগী কৌশলে পালিয়ে যান।
ওসি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপ–পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রব ওই এলাকায় অভিযানে গেলে দুই মাদক বিক্রেতা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় মামুনকে লাল ব্যাগসহ আটক করা হয়। এরপর ওই ব্যাগ তল্লাশি করে কাপড়ের ভেতর বায়ুরোধী পলিথিনে ইয়াবাগুলো পাওয়া যায়। লাল রঙের ঐ ট্রলি ব্যাগে ৫০০ পিসের ১২টি প্যাকেটে ৬ হাজার ইয়াবা ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বড় ভাই’র নাম জানতে চাইলে তিনি বড় আপা’র তথ্য দেন। এদিকে গ্রেপ্তারকৃত মামুন তার বড় আপা সম্পর্কে পুলিশকে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। এই বড় আপা গত বছর ২০ জুলাই কক্সবাজার–টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা চেকপোস্টের দায়িত্বরত বিজিবির সদস্যদের হাতে ৮ হাজার ইয়াবাসহ ধরা পড়েছিল। সে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদা গ্রামের জাফর আলমের মেয়ে। ইতিমধ্যে হালিমার কয়েক স্বামী বদল হয়েছে। প্রথম স্বামীর ঘরে তার ৩ সন্তান রয়েছে। তার সর্বশেষ স্বামী টেকনাফ সদর ইউপি মেম্বার আব্দুল হামিদ। ৪/৫ বছর আগে হামিদকে বিয়ে করার পর সে গোদারবিল ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন এলাকায় স্বামীর সাথে বসবাস করতো। তখন থেকে সে ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়ে। তবে সম্প্রতি হামিদের সাথেও তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। ঢাকা–চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে এই হালিমার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ইকবাল হোসেন মামুন ও তার ‘বড় আপা’ হালিমা বেগমের নামে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি মহসীন।