৩ মে আজ প্রেস ফ্রিডম ডেওয়ার্ল্ড । ‘ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এবার দিবসটি পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও তাঁদের পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এই দিবসটি পালনের জন্য মঙ্গলবার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে উপলক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্ণিকাট অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “আজ আমরা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উদযাপন করছি। জাতিসংঘ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই দিবসটি গণতন্ত্র বিকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা বোঝার সুযোগ করে দেয়। প্রেসিডেন্ট ওবামা যেমনটি বলেছেন, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস এমন একটি দিবস যখন আমরা ঐ সকল সাংবাদিকদেরকে সম্মান প্রদর্শন করি, আমরা যখন এই মুহুর্তে কথা বলছি তখন তারা হয়ত কারাভোগ করছেন, লাঞ্ছিত হচ্ছেন এবং বিপদে রয়েছেন এবং অবশ্যই তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করি যারা এই কারণে প্রাণ হারিয়েছেন।
বিবৃতিতে মার্শা আরও বলেন, “বিশ্বব্যাপী আমরা সাংবাদিকদের সম্মান জানাই যারা অনেক বিপদ মোকাবেলা করেও সত্য উন্মোচনের এবং তা ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকারের জন্য গণতান্ত্রিক আদর্শকে রক্ষা করেন। আমাদের বিশ্ব, দেশ এবং সমাজ যেসকল প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয় তা নিয়ে প্রতিবেদন করার কারণে অনেকেই কারাবরণ করেছেন, হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং এমনকি নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকার জন্য প্রায় তাদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হন যারা মনে করে সাংবাদিকদের কারণে তারা হুমকিতে পড়ছে।”
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, একটি গণতন্ত্রে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তারা আমাদের নেতাদের এবং আমাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনেন। তারা আমাদের ও আমাদের সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেন এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে সাহায্য করেন।
গণতন্ত্র কেবল সেখানেই বিকশিত হতে পারে যেখানে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। সাংবাদিকরা যেমন আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা করে তেমন আমাদেরও উচিত তাদের রক্ষা করা। বিশ্বের সর্বত্র নাগরিকদের সুবিধার জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে আমাদের রক্ষা করতে হবে। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির; জ্ঞান যেথা মুক্ত।’ আমি বিশ্বাস করি তিনি এমন একটা বাংলাদেশে স্বপ্ন দেখেছিলেন যেখানে সব ধরনের লেখক, চিন্তাবিদ ও সাংবাদিকরা তাদের বোধে আসা যে কোনো সত্য কোন প্রকার প্রতিহিংসার ভয় ছাড়াই সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন। আমরা সবাই এই স্বপ্নের প্রতি সম্মান জানাই।”