আলাদা আইন প্রণয়নের দাবি উঠল রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত একটি কর্মশালায় দেশের মানবাধিকার কর্মীদের জন্য। বক্তারা বললেন, মানবাধিকার কর্মীরা সমাজের জন্যই কাজ করেন। তাদের কাজকে সহজ এবং সাবলীল করার জন্য আইন প্রয়োজন। আইনি কাঠামোর ভেতর থেকে তারা কাজ করতে পারলে দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হয়ে উঠবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত ‘বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান’ প্রকল্পের আঞ্চলিক কার্যক্রমের উদ্বোধনী কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সোমবার সকালে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডস্ট্রির সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের।
নিউজ নেটওয়ার্ক আয়োজিত এ কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন- প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডরস ফোরামের রাজশাহী জেলা ককাসের সভাপতি ও স্থানীয় দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক লিয়াকত আলী; সহ-সভাপতি ও সোনার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত, সানশাইনের সম্পাদক তসিকুল ইসলাম বকুল ও উত্তরা প্রতিদিনের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাবলু।
বক্তারা বলেন, মানবাধিকার কর্মীদের জন্য কোনো আইন নেই। তারা কোন কোন বিষয়ে কীভাবে কাজ করবেন সে ব্যাপারে আইনে সুনির্দিষ্টভাবে বলা উচিত। এ জন্য নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজন হলে তা করতে হবে। নতুন আইনের মধ্যদিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা কাজ করলে তাদের কাজে যেমন গতি ফিরবে তেমনি মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে।
তারা বলেন, নারীরা পরিবারেই সবচেয়ে বেশি অবহেলার শিকার হন। তাই সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে পরিবার থেকেই। পাশাপাশি নিজের অধিকার রক্ষায় প্রতিটি নারীকেই সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা অধিষ্ঠিত হলেও এখনও এ সমাজ পুরুষশাসিত। নারীর অধিকার আর সম্মান বুঝিয়ে দিলেই সমাজে তারা অবহেলার শিকার হবেন না।
কর্মশালায় নিউজ নেটওয়ার্কের মানবাধিকার সাংবাদিকতায় ফেলোশিপে অংশগ্রহণকারী ২০ জন নারীসহ বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডরস ফোরামের রাজশাহী জেলা ককাসের অন্য সদস্যরা অংশ নেন। প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ কর্মশালা পরিচালনা করেন। সার্বিক সহযোগিতা করেন নিউজ নেটওয়ার্কের কর্মসূচি বিশেষজ্ঞ রেজাউল করিম।