সাংবাদিকদের উপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক ছাত্র আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে । তিনি মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হামলাকারীদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বানও জানান। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের সঙ্গে পুলিশ হেফাজতে আইনানুগ আচরণ করার জন্য নির্দেশনা দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে লিখিত সুপারিশও পাঠানো হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, সাংবাদিকরা মানবাধিকারকর্মী। তাদের ওপর হামলা অনভিপ্রেত। শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবি মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেয়ার পর পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হচ্ছিল, শিশু শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাসে ফিরে যাচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে কারা এই শিশু শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করলো? তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ কমিশন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ডিবি হেফাজতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিশনের বক্তব্য হচ্ছে, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন অনভিপ্রেত। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় সংবিধান, প্রচলিত আইন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হয়। শহিদুল আলমের ক্ষেত্রে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়ার জন্য এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে লিখিত সুপারিশ করা হয়েছে।