র্যাব বাকলিয়ায় বাসা থেকে র্যাবের ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় এসআই খন্দকার সাইফ উদ্দীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে বাড়ির মালিকের ছেলে ও অভিযোগ ওঠা এসআই সাইফের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
এ ঘটনায় সিএমপির পক্ষ থেকে চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমাকে প্রধান করে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও সদরঘাট থানার পরিদর্শককে (তদন্ত)।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মোস্তাইন হোসাইন জানান, এসআই খন্দকার সাইফ উদ্দীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বাসাটিতে এসআই সাইফের ব্যববহৃত পুলিশের পোশাক বাসাটিতে এসআই সাইফের ব্যববহৃত পুলিশের পোশাক “পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে সহকারী কমিশনার পদমর্যাদর একজন কর্মকর্তাকে প্রধান করে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদেস্যের কমিটি করা হয়েছে।”
কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসআই সাইফ উদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাকলিয়া থানায় করা এ মামলায় বাড়ির মালিকের ছেলে এসএম নাজিম উদ্দিন মিল্লাতকে (৩৭) প্রধান আসামি করা হয়েছে। পলাতক দেখানো হয়েছে এসআই সাইফকে।
বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, র্যাব-৭ এর ডিএডি নাজমুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
সোমবার (৩০ জুলাই) রাতে নগরের বাকলিয়া হাফেজনগর এলাকায় এসআই খন্দকার সাইফুদ্দিনের বাসা থেকে ১৪ হাজার ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব| এ সময় এসআই খন্দকার সাইফুদ্দিনের ইয়াবা পাহারাদার নাজিম উদ্দিন মিল্লাত (৩০) নামে একজনকে আটক করে র্যাব|
ইয়াবা ছাড়াও খন্দকার সাইফুদ্দিনের বাসা থেকে ইয়াবা বিক্রির নগদ ২ লাখ ৩১ হাজার ৬৩০ টাকা, ৪টি মোবাইল ফোন, ৩টি ট্যাব ও পুলিশের কিছু ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব|
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মিমতানুর রহমান জানান, বাসাটি থেকে ১৪ হাজার ১০০ ইয়াবা উদ্ধার করা এবং বাড়ির মালিকের ছেলে মিল্লাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসআই সাইফের বাসায় বেশকিছু ব্যাগও মিলেছে এসআই সাইফের বাসায় বেশকিছু ব্যাগও মিলেছে এছাড়া বাসা থেকে এসআই সাইফের ব্যবহার করা পুলিশের পোশাক, হ্যান্ডকাপের কভারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বই উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাসটিতে বেশকিছু ব্যাগও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন অভিযানে থাকা এক কর্মকর্তা।
র্যাব-৭ এর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, তিনতলা ভবনের নিচ তলার বাসাটি মাসিক আট হাজার টাকা ভাড়া দিতেন এসআই সাইফ। তার আগে চাক্তাই ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্য বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। বাসাটি তারা ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করতেন।
শাহ আমানত সেতু চেকপোস্টে প্রতিদিন তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ ছিল সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। চেকপোস্টটি বাকলিয়া থানার চাক্তাই ফাঁড়ির অধীনে।