নির্বাচন বন্ধ করতে লিখিত আবেদন কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট চলাকালে দুপুরে, আর বিকালে ভোট শেষে ফলাফল আগাম প্রত্যাখ্যান। কিন্তু এই আরিফুল হক চৌধুরীই আবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয় পেতে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনকে ঘিরে যা যা হয়েছে তা ভুলে যাওয়ার কথা বললেন বিএনপির প্রার্থী।
সোমবার রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টির ঘল ঘোষণা করেন যেখানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের চেয়ে আরিফুল এগিয়ে চার হাজার ৬২৬ ভোটে। কিন্তু গোলযোগের জন্য স্থগিত দুই কেন্দ্রে ভোট চার হাজার ৭৮৭। ফলে আইন অনুযায়ী বাকি দুই কেন্দ্রে ভোট নিয়েই পরে বিজয়ী ঘোষণা করতে হবে।
তবে এই ভোটের প্রায় শতভাগ পেলেই কেবল জিততে পারবেন কামরান আর এই হিসাবে বলাই যায়, টানা দ্বিতীয়বার সিলেটের মেয়র হতে যাচ্ছেন আরিফুল।
বিকালে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করলেও একেকটি কেন্দ্রের ফল ঘোষণার পর যখন জানা যায় দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান খুবই কম, তখন আরিফুল যান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। আর যখন জয় নিশ্চিত হয়ে যায়, তখনই ধন্যবাদ জানান সিলেটবাসীকে।
সিলেটবাসীকে জয় উৎসর্গ করে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘এ জয় সিলেটবাসীর।’ একই সঙ্গে তিনি নির্বাচনকে ঘিরে যা কিছু হয়েছে তা ভুলে গিয়ে সবার সঙ্গে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
অথচ বিকাল চারটায় ভোট শেষে করা সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল ছিলেন ক্ষুব্ধ। ‘ফল যাই হোক, প্রত্যাখ্যান করলাম’-এ কথা উল্লেখ করে তিনি নির্বাচন নিয়ে আপত্তি জানান। বলেন, ‘এটা ভোট চুরি না, দিনে-দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে এবং তাদের সহায়তায় ভোট ডাকাতি হয়েছে।’
কামরানকে বিজয়ী ধরে নিয়ে আরিফুল বলেন, ‘এই জয়, জয় না। এটা মীর জাফরের জয়। এই জয়ের মাধ্যমে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। আমার পরাজয়টা বড় ব্যাপার না, এ নির্বাচনের ফলে নতুন প্রজন্ম একটি ভুল জিনিস শিখছে।’
তারও আগে বেলা একটার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা আলিমুজ্জামানের দপ্তরে গিয়ে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন আরিফুল।
আর সকালে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ করেন, বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোট দেয়া হয়ে গেছে আগের রাতেই। আর এর প্রমাণ থাকার কথাও বলেন তিনি।