গ্রেপ্তার ও হয়রাণির অভিযোগ নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে থেকে থেকেই রাজশাহীতে মামলা দেয়া শুরু হয়েছে আসন্ন ৩ সিটি নির্বাচনের মাঠ ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। নির্বাচনের কমিশনের নির্দেশনা সত্ত্বেও ফাক ফোকর গলিয়ে উঠেছে । আর এখন সিলেটে মামলা ও হয়রাণির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশালে নাশকতার আশংঙ্কা প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা বাহিনী। এই ঘটনাগুলো একদিকে যেমন ভোটারদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে, পাশাপাশি তারা অনেক ধরনের সন্দেহের দোলাচলে রয়েছেন। সাধারণ ভোটাদের মধ্যে একটি আশংঙ্কা তৈরি হয়েছে তারা কী-আদৌ সুষ্টুভাবে তাদের নাগরিক অধিকার ভোট প্রদান করতে পারবে কী-না।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ৩ টি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে আমাদের মধ্যে শংঙ্কা রয়েছে। শংঙ্কার পাশাপাশি রয়েছে হতাশাও। নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও রংপুরের পর নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের যে আস্থা তৈরি হয়েছিল তা কমিশন ধরে রাখতে পারেনি। নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনায় রাখতে হবে কয়েক মাস পর জাতীয় নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই ৩ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হচ্ছে বড় নির্বাচন। সঙ্গত কারণেই সারাদেশের মানুষের নজর থাকবে এই নির্বাচনের দিকে। এই নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে জনগণের কাছে একাদশ জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা জন্মাবে না।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ বলেন, মাগুরা মডেলের পরে খুলনা মডেল। নতুন যে মডেলের দিকে যাচ্ছে, তা কি ভয়ের মডেল নাকি উদাসীনতার মডেল, তা ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে এটা ব্যাখ্যার অযোগ্য (আনএক্সপ্লেনেবল), এক ধরনের বিশেষ প্রবণতা। জাতীয় নির্বাচনে এ ধারাবাহিকতা থাকলে তা খুব ভয়ের ব্যাপার। এ ছাড়া প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

প্রার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজন জানায়, মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচজনের দুজন স্নাতকোত্তর ও তিনজন স্নাতক, বরিশালে সাতজনের একজন স্নাতকোত্তর, চারজন স্নাতক, একজনের এসএসসি ও একজন স্বশিক্ষিত, সিলেটে সাতজনের মধ্যে একজন স্নাতকোত্তর, দুজন স্নাতক, একজন এইচএসসি, একজন এসএসসি ও দুজন স্বশিক্ষিত।
রাজশাহীতে ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মেয়র ছিলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ওই সময়ে তাঁর আয় বেড়েছে ২৩০৮.১০ %। কিন্তু পরের পাঁচ বছরে তাঁর আয় বেড়েছে ৩৩.২৯ %। ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেয়র ছিলেন বিএনপির বর্তমান মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন। ওই সময়ে তাঁর আয় বেড়েছে ১৫১৮.৩৬ %। ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সময়ে সিলেটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের আয় বেড়েছে ৬০.৭৩ %। ওই সময়ের মেয়র ও বর্তমান বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর আয় বেড়েছে ৪৮ %।

Share Now
December 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031