অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে নগর পুলিশ সদর দপ্তরের ডিবি (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ) কার্যালয়ে । এতে পুড়ে গেছে কার্যালয়ে রক্ষিত বেশ কিছু ভেস্ট ও কাগজপত্র। তবে প্রাথমিকভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনা হিসেবে এটাকে দেখা হলেও মূল ঘটনা জানতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।
গতকাল সকাল সোয়া ১১টার দিকে লালদীঘি পাড়ে গোয়েন্দা কার্যালয়ের তিন তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নগরীর আগ্রাবাদ, নন্দনকানন ও চন্দনপুরা ফায়ার স্টেশনের ১৩টি গাড়ি পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে দাবি করছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ–উল–হাসান গতকাল বলেন, প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনা ধারণা করা হলেও ঘটনাটি তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আমেনা বেগমকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডিসি ডিবি, ডিবি (নর্থ), এডিসি (ডিবি) এবং ফায়ার ব্রিগেডের একজন কর্মকর্তা। আগামী তিনদিনের মধ্যে কমিটিকে তাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে, জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। এদিকে ফায়ার সার্ভিসও শট সার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে। নন্দনকানন ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার আব্দুল মান্নান গতকাল আজাদীকে বলেন, বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। সেখানে ইন্টারনেটের রাউটারের সকেট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। এগুলো তদন্তের পর জানা যাবে।
জানা গেছে, ডিবি কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ৫ নম্বর কক্ষের বাইরে আগুনের সূত্রপাত হয়। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের কক্ষের পাশে রাখা একটি সার্ভার বঙ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় এবং সেখান থেকেই আগুন ধরে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পুলিশ সদস্যরা বেরিয়ে আসেন। আগুনে ভবনটি ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় ওই ভবনে থাকা হাজতখানা থেকেও আসামিদের বের করে নিয়ে আসা হয়। ওই ভবনে গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার বন্দর, অতিরিক্ত উপ কমিশনার উত্তর, দক্ষিণ, পশ্চিম ও বন্দর ও সহকারী কমিশনারদের অফিস, পরিদর্শকদের কক্ষ, অস্ত্রাগার ও হাজতখানা রয়েছে।
তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এসব কক্ষের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আমেনা বেগম।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষের বাইরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সেখানে ইন্টারনেটের একটি রাউটার বিস্ফোরিত হয়েছে, এ সময় ওই কক্ষে থাকা পুলিশের কিছু ভেস্ট পুড়ে গেছে।