আজ গণভবনে আয়োজিত তৃণমুল নেতাদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতা-কর্মীদের আগামী সাধারণ নির্বাচনের জন্য ভোট চাইতে এখন থেকেই মানুষের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন। মানুষ কিন্তু ভুলে যায় এ জন্য আমাদের উন্নয়ন দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে, তাদের বোঝাতে হবে, তাদের কাছে বারবার যেতে হবে।
সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাগত বক্তৃতা করেন। দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ শোক প্রস্তাব পাঠ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের মানুষের উন্নতি হয়। গ্রামের অর্থনীতি আজ উন্নত হয়েছে এবং জনগণের আয় বাড়ায় তারা সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারছে, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে পারছে- এ কথাগুলো সবাইকে বলতে হবে।
দল এবং সহযোগী সংগঠনের অভ্যন্তরীণ মতভেদ এবং দ্বন্দ এখনই মিটিয়ে ফেলার আহবান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে আগামীর নির্বাচন অতীতের যেকোন সময়ের চাইতেই কঠিন হবে। কোন আসন নিয়ে অমনোযোগী হবার সুযোগ নেই, কোন আসন নিয়ে অমনোযোগী হবার মানেই হবে সে আসনে পরাজয়, যার কারণে আমাদের সরকার গঠনের সুযোগ ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। সরকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন, আওয়ামী লীগ যদি আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে তাহলে এই বিচার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তারা (বিএনপি-জামায়াত) আবার মানুষের ওপর, তাদের জানমালের ওপর আক্রমণ শুরু করে দেবে, দারিদ্র্য বাড়িয়ে শিক্ষার হার কমিয়ে ফেলবে, সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের কর্মসূচি, উন্নয়ন কর্মকান্ড সব বন্ধ করে দেবে, অতীতে যেমনটি করেছিল। কাজেই আপনাদের শুধু আওয়ামী লীগকেই নয়, এর সহযোগী সংগঠনগুলোকেও শক্তিশালী করে তুলতে হবে।