নেদারল্যান্ড সরকার মুসলিম নারীদের নেকাব ও বোরকার ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে সবাই যার যার পছন্দের পোশাক পরার স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়েছে ‘মুখ ঢাকা থাকে এমন পোশাক’ বিশেষ করে বোরকা ও নেকাব পরে প্রকাশ্যে চলাফেরায় ওই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর অধীনে শুধু চুল ঢেকে থাকে এমন হিজাব পরার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে গণপরিবহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যেমন হাসপাতাল ও সরকারি অফিসগুলোতে।
দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ এ নিষেধাজ্ঞা ভোটে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। তবে এর আওতায় রাস্তাঘাট আসবে না। যদিও রাস্তায় পুলিশ কোনো নারীকে তার মুখের পর্দা সরাতে বলতে পারেন, তাকে সনাক্ত করার জন্য। উগ্র ডানপন্থি রাজনীতিক গির্ট উইল্ডার্সের ফ্রিডম পার্টি এমন নিষেধাজ্ঞাকে একটি বড় ধরনের বিজয় বলে আখ্যায়িত করেছে। অন্যদিকে সিনেটর মারজোলেন ফ্যাবার-ভ্যান ডি ক্লাশোর্ট বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। নেদারল্যান্ডকে ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে এটা হলো প্রথম পদক্ষেপ। এর পরে নেদারল্যান্ডের সব মসজিদ বন্ধ করে দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। নেদারল্যান্ডের আইন হলো আঞ্চলিকতার দিক দিয়ে নিরপেক্ষ। ফ্রান্স বা বেলজিয়ামের মতো কঠোর অবস্থায় তারা এখনও যায় নি। নেদারল্যান্ডসের পর্যায়ক্রমিক সরকারগুলো নেকাব ও বোরকা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে এসেছে, যা মুখমন্ডল ডেকে রাখে।