ব্যালটে সিল মারার ঘটনা ঘটেছে শহীদ স্মৃৃতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের জোরে করে। আজ সকাল সোয়া ১০টার পর এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে বিএনপি সমর্থক কাউন্সিলর প্রার্থী হান্নান মিয়া হান্নুর সমর্থকরা কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ করে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ওই কেন্দ্রের ২০১ নং বুথের ভোটার মির মোহাম্মদ মোফাজ্জল (৩৩০৬৩৪১৮৭৭৮৬) বলেন, আমি বুথে প্রবেশ করার পরে ৭/৮ জন লোক এসে আমার কাছ থেকে ব্যালট ছিনিয়ে নেয়। এসময় তারা বুথে থাকা অন্য ব্যালট নিয়ে তারা নৌকা প্রতীকে সিল মারতে থাকে।
সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ২০৩ নম্বর কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও মেয়র ও কাউন্সলর প্রার্থীর ব্যালট শেষ। তবে নারী কাউন্সিলরের ব্যালট শেষ হয় ৮১টা। ওই বুথের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, চারপাশে ঘিরে ধরে আধ ঘন্টা ধরে ভোট কেটে নেয়া হয়। পাশের বুথ ২০৫ নম্বরেও একই ঘটনা ঘটে। এই বুথে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্ট শাহীন রেজা নিজেও তার প্রার্থীর পক্ষে ব্যালটে সিল মারেন। সামনাসামনি এ অভিযোগ করেন নৌকার এজেন্ট মো. মিজানুর রহমান লিটন এবং অপর কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্ট আব্দুল করিম। ২০৬ নং বুথে দেখা গেছে, মেয়র প্রার্থীর ব্যালট ১০৬টা ব্যবহার হলেও কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর ব্যালট গেছে ৯১টি। এসব বিষয়ে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মিয়া বলেন, আমরা অভিযোগগুলো যাছাই করে দেখছি। এটা প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব। তিনি ব্যবস্থা নেবেন। প্রিসাইডিং অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে সমস্যা জেনে নিচ্ছি। কিছু লোক জাল ভোট দিতে আসছিলো পোলিং এজেন্টরা তাদের চিহ্নিত করার পরে একটু সমস্যা হয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নেবো।