ঈদের এই সমময়টাতে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা যেখানে দম ফেলার ফুসরত না পওয়ার কথা সেখানে প্রায় অবসর সময় পার করছেন তারা। ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। কেউ দোকানে বন্ধ করে বাসায় অবস্থায় করছেন। এর কারণ একটাই সেটা হলো বৃষ্টি।
কখনো প্রবল বেগে আবার কখনো টিপটিপ করে বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টির কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন ঈদকে সামনে রেখে ফুটপাতে দোকান পাতানো ব্যবসায়ীরা। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা আরও দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
চকবাজারের ফুটপাত ব্যবসায়ী আইয়বু বলেন, ঈদের আগ মুহূর্তে ধার দেনা করে দোকানে লাখ টাকার মাল তুলেছি। চিন্তা করছি মাল বেইচ্চা মালিকের টাকা দিয়া দিমু। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে মহাবিপদে পইড়া যামু ভাই। বেচা না হইলে ঈদের পরে মালিকরে ট্যাকা দিমু কই থেইক্যা। এখন আমাগো কান্দন ছাড়া কোনো উপায় নাই।
নিউ মার্কেট এলাকার ফুটপাত ব্যবসায়ী সুমন বলেন, প্রতিবছর ঈদের এই সময়টাতে দম ফেলানের ফুসরত পাইনিা। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির কারণে দোকানই খুলতে পারছি না। বৃষ্টি একটু থামলে দোকান খোলার চেষ্টা করি। কিন্তু খুলতে না খুলতেই আবার শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি, কখনো মুষলধারে আবার কখনো টিপটিপ। দোকানই খুলতে পারছি না কাস্টমার আসবে কিভাবে।
এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায় এসব এলাকার প্রতিটি মার্কেটের ফুটপাতের দোকানগুলো বৃষ্টির কারণে বন্ধ রয়েছে।
বৃষ্টির কারণে দোকানের মালপত্র পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখে মার্কেটের এক দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন চকবাজার এলাকায় ফুটপাতের ব্যবসায়ী এয়ার মুহাম্মদ।
তিনি বলেন, ভাই বৃষ্টিটা আমাগো পথে বসায় দিতাছে। শুনছি এই রহম বৃষ্টি নাকি আরো তিন- চারদিন থাকবো। এমন হইলেতো আমরা শেষ হইয়া যামু। কালকা থেইক্যা বেচাকিনা একদম নাই। আজকাও সকাল থেইক্যা বৃষ্টি থামছেই না। সকালে একবার দোকান খুলেছিলাম, কিন্তু বৃষ্টির জন্য বন্ধ করে রাখতে হয়েছে। দোকান খুলতে না পারলে ব্যবসা করুম ক্যামনে। এই বৃষ্টি আমাগো শেষ কইরা দিতাছে।