প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একের পর এক অন্যায় হয়েছে রাষ্ট্রীয় মদদে। ঘাতকদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদেরকে বিদেশে চাকরি দিয়ে, দল গঠন করে এবং রাষ্ট্রের শীর্ষ পদে বসানো হয়েছে। কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে ঘাতকদেরকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। কিছু হলেই দেখা যায়, আমার কাছে বিচার চাওয়া হচ্ছে, অথচ একদিন আমি এবং আমার পরিবার খুনের বিচারও চাইতে পারি নাই। সেই অধিকারটুকুও আমাদের ছিল না।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় হেলপ লাইনের কল সেন্টারের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই সেন্টার থেকে বিনা খরচে দুঃস্থদের মাঝে আইনি সহায়তা দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃস্থ মানুষকে সহায়তা করতে হবে। সমাজের বিভিন্ন প্রান্তে বহু অসহায় মানুষ আছে, তাদেরকে সহযোগিতা করা আমাদের টার্গেট। তিনি মঞ্চে বসা আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আাকর্ষণ করে বলেন, কারাগারেও বহু বন্দী রয়েছে, যারা বিনা বিচারে সেখানে রয়েছে। এদেরকে খুঁজে বের করে আইনি সহায়তা দিতে হবে। সরকার বিচারব্যবস্থার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদেরকে বিনা খরচে সহায়তা দেয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই দেশ সুষ্ঠুভাবে চলুক, দেশে আইনের শাসন আরো জোরদার হউক,সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হউক। তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নকে তৃণমূলে নিয়ে যেতে চাই। উন্নয়ন কেবল রাজধানীভিত্তিক হলে চলবে না। আমরা আয়ের বৈষম্য দূর করতে চাই। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। রাজধানীর বস্তিবাসী যাতে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে সে দিকে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। আমরা কখনো নিম্নে থাকব না-উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাই না। হ্যা, আমরা ধার নেব- তবে তা সুদে আসলে ফেরত দেই।